ভারতে অক্সফোর্ডের টিকার ট্রায়াল শুরু হবে আগস্টেই, জানিয়ে দিল সেরাম

আগস্টেই অক্সফোর্ড ভ্যাক্সিনের ট্রায়াল শুরু হয়ে যেতে পারে মানুষের শরীরে। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছেন সেরামের সিইও আদর পুনাওয়ালা।

Written by SNS New Delhi | July 22, 2020 7:50 pm

প্রতিকি ছবি (File Photo: iStock)

আর অপেক্ষা নয়। অক্সফোর্ডের ভ্যাক্সিনের প্রথম পর্যায়ের ট্রায়াল সফল। এই সুখবর শুনিয়ে দিয়েছে ল্যানসেট মেডিকেল জার্নাল। তাই সেপ্টেম্বর নয়, আগস্টেই অক্সফোর্ড ভ্যাক্সিনের ট্রায়াল শুরু হয়ে যেতে পারে মানুষের শরীরে। মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছেন সেরামের সিইও আদর পুনাওয়ালা।

ব্রিটেনের জেন্নার বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ডিএনএ ভেক্টর ভ্যাক্সিন ক্যান্ডিডেট ডিজাইন করেছে অক্সফোর্ডের ভাইরোলজিস্ট সারা গিলবার্টের টিম। এই গবেষণায় রয়েছেন অধ্যাপক অ্যান্ড্রু পোলার্ড, টেরেসা লাম্বে, ডক্টর স্যান্ডি ডগলাস ও অধ্যাপক অ্যাড্রিয়ান হিল।

কোভিড ভ্যাক্সিন গবেষণায় অক্সফোর্ডের হাত ধরেছে ব্রিটিশ-সুইডিশ ফার্ম অ্যাস্ট্রজেনেকা। অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনেকার সঙ্গে চুক্তি করে ভারতে অক্সফোর্ডের ফর্মুলায় ডিএনএ ভ্যাক্সিন তৈরি করছে পুনের ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা সেরাম ইনস্টিট অব ইন্ডিয়া।

ল্যানসেটের রিপোর্ট সামনে আসার আগেই সেরামের সিইও আদর পুনাওয়ালা জানিয়েছিলেন, অক্সফোর্ডের ভ্যাক্সিন প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ইতিবাচক ফল মিলেছে। ব্রিটেনে অক্সফোর্ডের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের দিকে খেয়াল রাখা হচ্ছে। সবুজ সঙ্কেত মিললেই ভারতে এই ভ্যাক্সিনের ট্রায়াল শুরু করা হবে মানুষের শরীরে।

গতকাল সোমবার প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের রিপোর্ট সামনে আনে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনকা। সেই রিপোর্টে সারা গিলবার্টের টিম জানায়, দুই পর্যায় ১০৭৭ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছিল দুটি দলে ভাগ করেকটি দলকে ভ্যাক্সিনের একটি ডোজ এবং অন্য দলকে নির্দিষ্ট দিনের ব্যবধান দুটি ডোজ দেওয়া হয়।

দেখা গিয়েছে যাদের একটি ডোজ দেওয়া হয়েছিল তাদের ৯০ শতাংশের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। ইতিবাচক দিক হল এই ভ্যাক্সিন শুধু অ্যান্টিবডি তৈরি করছে না, দেহকোষের টি কোষকেও সক্রিয় করে তুলছে। এই টি কোষটি হল শরীরের রোগ প্রতিরোধের মূল বর্ম। বেশির ভাগ ভ্যাক্সিনই অ্যান্টিবডি তৈরির প্রক্রিয়াকে যেমন সক্রিয় করে, তেমনই টি কোষকেও সক্রিয় করে রোগ প্রতিরোধের ব্যবস্থা গড়ে তোলে।

ভ্যাক্সিনের কাজ শেষ হলে ইঞ্জেকশন দেওয়ার ১৪ দিনের মাথায় টি কোষ সক্রিয় হয়ে ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে তোলে। বি কোষ সক্রিয় হয়ে অ্যান্টিবডি তৈরি করে ২৮ দিনের মাথায়। অক্সফোর্ডের ভ্যাক্সিনও তাই করছে।