দেশের যুব সমাজে দ্রুত হারে বাড়ছে বেকারত্ব। গত এক দশকের রিপোর্টে মোদী সরকারের হাঁড়ির হাল সামনে এসেছে। এমতাবস্থায় সেই বেকারত্ব নিয়ে কেন্দ্রের তরফে একটি গোঁজামিল পরিসংখ্যান দিতেই সরব হলেন সংসদের বিরোধী সাংসদরা। যদিও সেই পরিসংখ্যানে দেওয়া তথ্য থেকেই দেশের বেকারত্বের করুণ ছবি অনেকটাই প্রকাশ্যে এসেছে। বিরোধীরা দাবি করেছেন দেশে প্রকৃত বেকারত্বের চিত্রটি আরও ভয়াবহ।
কেন্দ্রের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত জুন মাসে দেশে যুবসমাজের মধ্যে বেকারত্বের হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫.৩ শতাংশ। গত মে মাসে ১৫-২৯ বছর বয়সিদের মধ্যে বেকারত্বের এই হার ছিল ১৫ শতাংশ। এই নিয়ে পরপর দু’মাস বেকারত্বের হার বাড়ল। কেন্দ্রের পরিসংখ্যান মন্ত্রকের প্রকাশ করা তথ্য বলছে, জুনে শহরাঞ্চলে বেকারত্বের হার পৌঁছে গিয়েছে ১৮.৮ শতাংশে। গ্রামাঞ্চলে সংখ্যাটা ১৩.৮ শতাংশ। সম্প্রতি সেই সংখ্যাটাও সামান্য বেড়েছে।
পরিসংখ্যানে প্রকাশ, দেশের বেকার যুবসমাজের মধ্যে হতাশা ক্রমশই বেড়ে চলেছে। বার বার হতাশ হয়ে বেকারদের মধ্যে কাজ চাওয়ার প্রবণতাও কমেছে। কেন্দ্রের পরিসংখ্যানে এমনই উদ্বেগ লক্ষ্য করা গিয়েছে। এই পরিসংখ্যান অনুসারে মে মাসে যেখানে ১৫-২৯ বছর বয়সিদের মধ্যে ৪২.১ শতাংশ মানুষ কোনও কাজে যুক্ত থাকা বা কাজ খোঁজার চেষ্টা করছিলেন। সেখানে জুন মাসে কাজ খোঁজার চেষ্টা করছেন মাত্র ৪১ শতাংশ বেকার। অর্থাৎ বাকি ৫৯ শতাংশ যুবক-যুবতী কাজ খোঁজার চেষ্টা করে বার বার ব্যর্থ হয়েও হাল ছেড়ে দিয়েছেন। তাঁরা নতুন করে আর চেষ্টা করছেন না।
এদিকে দেশে বেকারত্ব নিয়ে কেন্দ্রের দেওয়া এই পরিসংখ্যানের ব্যাখ্যা করতে গিয়ে কংগ্রেস বলছে, কেন্দ্রের পরিসংখ্যান মন্ত্রকের নিয়ম অনুযায়ী, গোটা এক সপ্তাহে কোনও এক ব্যক্তি এক ঘণ্টার জন্যও যদি কাজ করে থাকেন, তাহলে তাঁকে বেকার বলে ধরা হয় না। অর্থাৎ এমন বহু যুবক-যুবতী আছেন, যাঁরা হয়তো নিয়মিত কাজ পাচ্ছেন না, কিন্তু তাঁদের বেকার হিসাবে ধরা হচ্ছে না।