আজ সংসদে পেশ হতে চলেছে ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিল। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল দুপুর ১২টায় লোকসভায় এই বিল পেশ করবেন। ইতিমধ্যেই বিলের কপি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সব সাংসদদের। বিলের বিরোধিতা করতে পারে একাধিক রাজনৈতিক দল, যার মধ্যে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লি, জম্মু ও কাশ্মীর ও পুদুচেরির জন্য আলাদাভাবে পেশ হবে বিল।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কমিটি ‘এক দেশ, এক ভোট’ সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরি করেছিল। সেই কমিটি একাধিক রাজনৈতিক দল, এবং ভারতের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে তাদের রিপোর্ট জমা দেয়। সেই রিপোর্টার ভিত্তিতেই প্রস্তাব পাশ হয়। এক দেশ, এক ভোট নিয়ে এর আগে প্রতিবাদে মুখর হয়েছে কংগ্রেস, তৃণমূলের মতো বিরোধী দলগুলি।
Advertisement
গত বুধবার ক্যাবিনেটে অনুমোদন পেল ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ প্রস্তাব।ক্যাবিনেট বৈঠকের পর একথা জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি বলেন, দুই পর্যায়ে এই প্রক্রিয়া বাস্তবায়িত হবে। প্রথম দফায় লোকসভা ও বিধানসভা ভোট হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে একসঙ্গে পঞ্চায়েত, পুরসভা, এবং আঞ্চলিক নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে। কমিটির প্রস্তাব অনুসারে সাধারণ নির্বাচনের ১০০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
Advertisement
২০১৪ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’-র বিষয়টি উত্থাপন করে আসছেন মোদী। মোদী সরকারের দ্বিতীয় দফায় এক দেশ, এক নির্বাচনের উপরে আরও জোর দেওয়া হয়। দেশে নির্বাচন আয়োজন করতে যে বিপুল অর্থ ব্যয় হয়, তা হ্রাস করতে এবং নির্বাচন প্রক্রিয়াকে আরও সুষ্ঠ করতে কেন্দ্রের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।
এক দেশ এক নির্বাচনের জন্য সংবিধানে কমপক্ষে ১৮টি পরিবর্তন বা সংশোধন আনা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে রাজ্যের অনুমতিরও প্রয়োজন নেই। কমিটির প্রস্তাব অনুসারে এর বাস্তবায়ন হলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির যেমন উন্নতি হবে, তেমনই দেশ অর্থনৈতিক দিক থেকেও লাভবান হবে বলে মনে করছে কেন্দ্র।
Advertisement



