জাতীয় পতাকা সরাইনি, লালকেল্লায় প্রতীকী প্রতিবাদ করেছি, সাফাই দীপ সিধুর

কেন্দ্রীয় সরকারের অভিযােগ, প্রজাতন্ত্র দিবসে বিশ্বের সামনে ভারতে ভাবমুর্তি কালিমালিপ্ত করে এক দল কৃষক লালকেল্লায় ঢুকে পড়ে।

Written by SNS Delhi | January 28, 2021 8:13 pm

লালকেল্লায় প্রতীকী প্রতিবাদ করেছি, সাফাই দীপ সিধুর (Photo: SNS)

কেন্দ্রীয় সরকারের অভিযােগ, প্রজাতন্ত্র দিবসে বিশ্বের সামনে ভারতে ভাবমুর্তি কালিমালিপ্ত করে এক দল কৃষক লালকেল্লায় ঢুকে পড়ে। তারা শিখদের ধর্মীয় পতাকা নিশান সাহিব সেখানে উত্তোলন করে। দিল্লিতে ট্রাক্টর মিছিলে অশান্তির জেরে মৃত্যু হয়েছে এক চাষীর। আহত হয়েছেন ১৫৩ জন পুলিশকর্মী ।

লালকেল্লার ঘটনায় যাঁর দিকে অভিযােগের তির, সেই অভিনেতা তথা সমাজকর্মী দীপ সিধু যদিও নিজের কোনও দোষ দেখছেন না। তার মতে লাল কেল্লায় নিশান ওড়ানাে নেহাতই প্রতীকি প্রতিবাদ ছিল।

মঙ্গলবার বিকেলে ফেসবুকে একটি ভিডিওকে সমর্থন করে সিধু বলেন, এইট পূর্ব পরিকল্পিত ছিল। তিনি বলেন, কৃষকরা যা করেছেন সেটাকে কোনও সাম্প্রদায়িক রঙ দেওয়া উচিত নয়। এটি চরমপন্থীদের কাজ এমনভাবেও দেখা উচিত নয়।

তিনি বলেন, প্রতীকি প্রতিবাদ হিসাবে নিশান সাহিব ও কৃষকদের পতাকা সেখানে উত্তােলন করা হয়। তারা কৃষকদের একতার স্লোগান দেন বলেও জানিয়েছেন দীপ। প্রসঙ্গত শিখদের অতি পবিত্র এই পতাকা। সমক্ত গুরদ্বারের দেখতে পাওয়া যায়।

এই পতাকা দেশের বৈচিত্রের মধ্যে এক্যের বার্তা দেয় বলে দাবি করেন দীপ সিধু। জাতীয় পতাকা যে সরানাে হয়নি ও দেশের অখণ্ডতা ও ঐক্য নিয়ে কারও মনে কোনও সন্দেহ নেই, সেই দাবিও করেন আন্দোলনকারী কৃষকরা।

তবে লালকেল্লায় প্রবেশ করার জন্য দলমত নির্বিশেষে একাধিক নেতা কৃষকদের সমালােচনা করেছেন। শশী থারুর থেকে বিজেপি নেতারা, অনেকেই লালকেল্লায় প্রবেশ করার জন্য কৃষকদের একাংশকে তুলােধনা করেছেন।

তবে দীপ সিধু বলেছেন, সাধারণ মানুষের কথা শােনা হয়নি। তাই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে কৃষকদের মধ্যে। প্রসঙ্গত গত লােকসভা নির্বাচনের সময় অভিনেতা সানি দেওলের হয়ে কাজ করছিলেন দীপ।

তবে পরে এই কৃষি আন্দোলন শুরু হওয়ার পর দুজনে রাজনৈতিকভাবে দুরে সরে যান। যােগেন্দ্র যাদব বলেছেন, দীপ সিধুকে তারা আগে থেকেই এই আন্দোলন থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। তার কার্যকলাপ দেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

সংযুক্ত কিষাণ মাের্চাও বলেছে, যারা হিংসায় লিপ্ত হয়েছিল তাদের সঙ্গে কৃষক আন্দোলনের কোনও যােগ নেই। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের সমাজবিরােধীরা ঢুকে পড়ে অশান্তি তৈরি করেছে বলে দাবি করেছেন কৃষক নেতারা।

তবে দীপ সিধু কিন্তু সেটা মানছেন না। তার মতে, একজনের পক্ষে এত টা সংগঠিত করা সম্ভব নয়। গত কয়েক মাস ধরে যা চলছে। লালকেল্লায় জোর করে ঢুকে নিশান ওড়ানাে। নাকি তারই বহিপ্রকাশ। তবে বিক্ষোভকারীরা হিংসা করার জন্য দিল্লি যাননি বলেও তিনি জানান।

বাস্তব যদিও বেশ কিছুটা ভিন্ন। প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান ও ফুটেজ থেকে লেখা গিয়েছে ট্রাক্টর নিয়ে বিভিন্ন জায়গার ব্যারিকড ভেঙে কৃষকরা দিল্লিতে প্রবেশ করে। তারই মধ্যে হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে পুলিশকে বিভ্রান্ত করে একদল লােক লালকেলার ওপর ঢুকে পড়ে। সেখানে খানিকক্ষণ হুলস্থুল করার পর লালকেলা জুড়ে তারা।