হিসেব নেই বিদেশি অনুদানের, ভােটের আগে বিজেপি’র সিন্দুকে ৯১৬ কোটি

পার্টি ফান্ডে কার কত টাকা ঢুকেছে তার হিসেবে আলাদা করে কেই বা রাখে? কিন্তু কোনােভাবে সেই হিসেব প্রকশ্যে এলে সকলের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে ওঠে।

Written by SNS New Delhi | July 12, 2019 3:38 pm

লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে বারাণসীতে মোদি। (File Photo: IANS)

পার্টি ফান্ডে কার কত টাকা ঢুকেছে তার হিসেবে আলাদা করে কেই বা রাখে? কিন্তু কোনােভাবে সেই হিসেব প্রকশ্যে এলে সকলের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে ওঠে। সম্প্রতি ঠিক তেমনটাই ঘটেছে।

লােকসভা নির্বাচনের বহু আগে থেকেই বিরােধীরা বিজেপি’র বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকা ব্যবহারের অভিযােগ তুলে আসছে। অভিযোগ, টাকা দিয়েই নাকি ভােট কেনার চেষ্টা করেছে মােদির দল। অবশ্য ঝাঁ চকচকে পার্টি অফিস দেখে এবং নির্বাচনে বিজেপি’র খরচের বহর দেখেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।

এত টাকা কোথা থেকে এল, তার জবাব খোঁজার চেষ্টা করেছিল অ্যাসােসিয়েশন ফর ডেমােক্র্যাটিক রিফর্মস বা এডিআর। তাদের হিসেব অনুযায়ী ভােটের আগে দু’বছরে রাজনৈতিক দলগুলির কর্পোরেট ব্যবসায়িক সংস্থাগুলি থেকে প্রায় ৯৮৬ কোটি টাকা চাঁদা পেয়েছে। তার মধ্যে ৯১৬ কোটি টাকা অর্থাৎ প্রায় ৯৩ শতাংই পেয়েছে বিজেপি।

ভারতের এতগুলি রাজনৈতিক দল এখানেই গুনে গুনে অন্তত ১০ গােল খেয়েছে বিজেপি’র কাছে। কারণ স্বভাবতই, মােদির দলের ৯৩ শতাংশের থেকে বাকিরা বহু মাইল দূরে। এডিআর বলছে, এই বিপুল অর্থের মাত্র ৫ শতাংশ বা ৫৫ কোটি পেয়েছে কংগ্রেস। আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে তৃণমূলের সিন্দুকে ঢুকেছে মাত্র আড়াই কোটি টাকা।

তবে একটা বড় প্রশ্ন থেকেই গেছে যে, এই বিপুল পরিমাণ টাকার মধ্যে বিদেশ থেকে আসা অনুদান কত শতাংশ? কিন্তু তার হিসেব পাওয়ার কোনাে রাস্তাই নেই। কারণ ২০১৮’র বাজেটের অর্থ বিলের মাধ্যমে বিদেশী অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইন সংশােধন করেছে বিজেপি সরকার। আইন বদলে দেয়ার ফলে আদৌ কোনাে বিদেশী অনুদান কেউ পেয়েছে কিনা তা জানার পথ নেই। কারণ বিদেশী অনুদান সংক্রান্ত কোনাে জবাবদিহি রাজনৈতিক দলগুলি করতে এখন আর বাধ্য নয়।

বিদেশী অনুদানের হিসেব না পাওয়াটাও খানিকটা আশঙ্কার বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁদের মতে কোনাে বিদেশী সংস্থা, তাদের দেশীয় শাখার মাধ্যমে এই টাকা দিচ্ছে। ফলে তাতে বিদেশী অনুদান কতটা দেশে ঢুকছে তা বলা প্রায় অসম্ভব।

কিন্তু বিদেশী সংস্থার টাকার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়া ভবিষ্যতে প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বা অর্থনীতি সংক্রান্ত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত ঝুঁকির হয়ে পড়ছে। কারণ সেখানে বিদেশী সংস্থার একটা হস্তক্ষেপ করতে পারে।