• facebook
  • twitter
Monday, 12 May, 2025

‘হামলাকারীকে খতম করা রাজার কর্তব্য’, মোদীকে মনে করালেন ভাগবত

মোহন ভাগবত বলেন, 'অহিংসা আমাদের সহজাত। আমরা প্রতিবেশীদের আক্রমণ করি না। কিন্তু কিছু মানুষের বদল সম্ভব নয়।'

পহেলগামে জঙ্গি হামলায় প্রাণ গিয়েছে ২৬ পর্যটকের। তারপর থেকে পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে ভারত। সিন্ধু জল বন্ধ করা থেকে শুরু করে ভিসা বাতিল, একের পর এক কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। কিন্তু তারপরেও ইসলামাবাদের মনোভাব বদলাচ্ছে না। এহের পরিস্থিতিতে পহেলগামের হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার দাবিতে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘও। সঙ্ঘপ্রধান মোহন ভাগবত বলেন, ‘অহিংসা যেমন ভারতীয়দের স্বভাবজাত, তেমনই আক্রমণকারীদের শাস্তি দেওয়াটাও সরকারের কর্তব্য।’

মোহন ভাগবত বলেন, ‘অহিংসা আমাদের সহজাত। আমরা প্রতিবেশীদের আক্রমণ করি না। কিন্তু কিছু মানুষের বদল সম্ভব নয়। আপনি যতই চেষ্টা করুন না কেন তাঁদের স্বভাব বদলাতে পারবেন না। গোটা বিশ্বকে ওরা বিব্রত করে। আর এই পরিস্থিতিতে রাজার কর্তব্য হল, নিজের সম্পত্তি রক্ষা করা। সেই কারণে হামলাকারীকে হত্যা করাটাও কর্তব্য। কেউ যদি খারাপ কাজ করে, সন্ত্রাসবাদকে মদত দেয়, তবে আত্মরক্ষায় জবাব দেওয়া ছাড়া উপায় নেই!’

গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গিদের গুলি করে খুন করে ২৬ জনকে। হামলার পরপরই দায়স্বীকার করে পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী লস্কর-এ-ত্যায়বার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফোর্স’ (টিআরএফ)। যদিও পরে অবস্থান বদল করে তারা। এই হামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সইফুল্লা খালিদ ওরফে সইফুল্লা কাসুরির লস্কর নেতা হাফিজ সইদের ঘনিষ্ঠ বলেও পরিচিত। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তানের নাম উঠে আসে। যদিও ইসলামাবাদ এই ব্যাপারে দায় এড়িয়েছে।

ভাগবত বলেন, ‘হিন্দুরা কখনওই এমন কাজ করবে না। এটা আমাদের স্বভাব নয়। তবে আমরা নীরবে সব কিছু সহ্য করব না।’ এর আগেও পহেলগাম কাণ্ডের নিন্দা করেছেন সঙ্ঘ প্রধান। তিনি বলেছিলেন, ‘ধর্ম জিজ্ঞেস করে করে মানুষ মারা হয়েছে। হিন্দুরা হলে কোনওদিন এমন করত না। এই লড়াইটা এখন ধর্ম বনাম অধর্মের। শয়তানকে শেষ করতে হলে নিজেদের সামর্থ্য দেখাতে হয়। রাবণও নিজেকে বদলাতে চায়নি। তাই অন্য কোনও বিকল্প না দেখে রাম তাঁকে হত্যা করেন। তবে সেটার আগে একবার মত বদলের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল রাবণকে।’

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার পহেলগামে পর্যটকদের উপর জঙ্গি হামলার ঘটনায় মোট ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ২৫ জন ভারতীয় এবং এক জন নেপালি নাগরিক রয়েছেন। সেই ঘটনায় পাক জঙ্গিদের পাশাপাশি আসিফ এবং আদিলের নাম উঠে এসেছে। অভিযোগ, পর্যটকদের ধর্ম পরিচয়ের ভিত্তিতে বেছে বেছে গুলি করা হয়েছে। নির্দিষ্ট একটি ধর্মের মানুষ ছাড়া কাউকে রেয়াত করা হয়নি। এই ঘটনার পর থেকেই দেশজুড়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। তিন বাহিনীকেই সজাগ থাকার নির্দেশ দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।