নির্ভয়ার ধর্ষকদের মৃত্যু পরোয়ানা, ফাঁসি ২২শে

দিল্লি হাইকোর্টের তরফে নির্ভয়া গণধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরােয়ানা জারি করে ২২ জানুয়ারি ফাঁসির দিন ঘােষণা করা হয়।

Written by SNS New Delhi | January 8, 2020 1:56 pm

নির্ভয়ার মা আশা দেবী ও বাবা বদ্রিনাথ সিং। (Photo: IANS)

সমাপ্তির পথে– মাঝে শুধু কয়েকটা দিন, হাইকোর্টের তরফে গণধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে মৃত্যু পরােয়ানা জারি করে ২২ জানুয়ারি ফাঁসির দিন ঘােষণা করা হয়। টানা এগারাে দিনের মুখ বন্ধ করে সহ্য করা যন্ত্রণার সমাপ্তি ঘটেছিল, কিন্তু বাকি ছিল ন্যায় পাওয়া- টানা সাত বছরের আইনি লড়াই শেষে ন্যায় পেতে চলেছেন ভয়াবহ ঘটনার শিকার নির্ভয়া ও তাঁর পরিবার।

৯ জুলাই, ২০১৮ দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে নির্ভয়ার দোষীদের মধ্যে তিনজনের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করে দেখার আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে শীর্ষ আদালত দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেছিল। দিল্লি হাইকোর্ট ধর্ষকদের প্রাণদন্ডের নির্দেশ দিয়েছিল।

নির্ভয়া কান্ডে দিল্লি হাইকোর্ট মুকেশ (৩১), পবন গুপ্তা (২৪), বিনয় শর্মা (২৫), অক্ষয় ঠাকুর সিং (৩৩) বিরুদ্ধে মৃত্যু পরােয়ানা জারি করে। নির্ভয়ার পরিবারের তরফে দোষীদের দ্রুত ফাঁসিতে ঝােলানাের ব্যবস্থা করার আবেদন জানানাের পাশাপাশি মৃত্যু পরােয়ানা জারি করার দাবি জানিয়েছিল। শুনানির সময় বাদী পক্ষের তরফে জানানাে হয়, দেশের কোনও আদালতে ও রাষ্ট্রপতির কাছে সাজাপ্রাপ্ত ধর্ষকদের শাস্তি পুনর্বিবেচনা করে দেখার আবেদন পড়ে নেই। দোষীদের পুনর্বিবেচনার আবেদনও সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। তবে মৃত্যু পরােয়ানা জারি ও ফাঁসি কার্যকরের দিনের মধ্যে দোষীরা সংশােধনী আবেদন করতে পারে। নির্ভয়া কান্ডে দোষী মুকেশ ও বিনয়ের আইনজীবী বলেন, ‘দেশের শীর্ষ আদালতে সংশােধনী আবেদন করা হবে’।

২০১৮ ডিসেম্বর, দিল্লি হাইকোর্ট নির্ভয়া কান্ডের চার দোষীর বিরুদ্ধে জারি হওয়া মৃত্যু পরােয়ানা ওপর ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতুবি জারি করেছিল। তাদের বক্তব্য, দোষীদের প্রাণভিক্ষার আবেদনগুলি খারিজ হওয়ার পরই মৃত্যু পরােয়ানা জারি করা হবে।

২০১২ সালের ১৭-১৭ ডিসেম্বরে কনকনে রাতে দক্ষিণ দিল্লির রাস্তায় চলন্ত বাসে নির্ভয়াকে ছ’জন গণধর্ষণ করেছিল। শুধু তাই নয়, মেয়েটি ও তার পুরুষ বন্ধুকে বেধরক মারধর করে চলন্ত বাস থেকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। দেশ-বিদেশের চিকিৎসাও ভবিতব্যকে বদলাতে পারে নি, টানা এগারাে দিনের মুখ বন্ধ করে সহ্য করা যন্ত্রণার সমাপ্তি ঘটেছিল। ২০১৩ সালে ফাস্ট ট্রাক আদালত চারজন ধর্ষককে গণধর্ষণ (একজন আত্মহত্যা করে ও দ্বিতীয় জন জুভেনাইল) অস্বাভাবিক যৌন নিগ্রহ, খুন ও পুরুষ বন্ধুকে খুনের চেষ্টা সহ ১৩টি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করেছিল।