• facebook
  • twitter
Tuesday, 22 April, 2025

সইফ আলি খানের উপর হামলা, মিলল না শরিফুলের আঙুলের ছাপ

এই বিষয়ে মুম্বই পুলিশের দাবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেলার সম্ভাবনা হাজারে একটি, কারণ অনেকেই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে সেই জিনিসপত্র স্পর্শ করেছে।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনায় নতুন মোড়। সইফের ফ্ল্যাট থেকে সংগ্রহ করা আঙুলের ছাপগুলির সঙ্গে মেলেনি গ্রেপ্তার হওয়া অভিযুক্ত শরিফুলের আঙুলের ছাপ। চার্জশিটে দেখা গিয়েছে যে, সইফের ফ্ল্যাট থেকে যে আঙুলের ছাপগুলি সংগ্রহ করা হয়েছিল, তার ২০টি স্যাম্পল স্টেট সিআইডি ফিঙ্গারপ্রিন্ট ব্যুরোতে পাঠানো হয়েছিল, যার মধ্যে ১৯ টি মেলেনি। তবে পুলিশ এই ফিঙ্গারপ্রিন্ট না মেলা নিয়ে নতুন যুক্তি খাড়া করেছে। জানা গিয়েছে, অভিনেতার বাথরুমের হাতল, আলমারির হাতল, বেডরুমের স্লাইডিং ডোর, দরজার হাতল-সহ একাধিক জায়গা থেকে আঙুলের যে ছাপ পাওয়া গিয়েছে তার সঙ্গে শরিফুলের আঙুলের ছাপের মিল নেই। আবাসনের নয় তলা থেকে যে ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়া হয়েছে, সেগুলি শুধু শরিফুলের সঙ্গে মিলেছে।এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই ফের গুঞ্জন, শরিফুল কী আদৌ সইফ-কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত?
এই বিষয়ে মুম্বই পুলিশের দাবি, ফিঙ্গারপ্রিন্ট মেলার সম্ভাবনা হাজারে একটি, কারণ অনেকেই ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে সেই জিনিসপত্র স্পর্শ করেছে। তাই ফিঙ্গারপ্রিন্ট মিলে যাওয়া এক্ষেত্রে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ নয়। মুম্বই পুলিশ গত সপ্তাহে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে সইফ আলি খান মামলা সংক্রান্ত চার্জশিট দাখিল করেছে। একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে ১০০০ পৃষ্ঠার সেই চার্জশিটে, শরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে বেশ কিছু প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
 
আদালতের কাছে পুলিশের আবেদন, শরিফুলের জামিনের আবেদন খারিজ করা হোক। পুলিশের তরফে আরও বলা হয়েছে যে, সইফের মেরুদণ্ডের কাছে যে ছুরির টুকরো পাওয়া যায় এবং ঘটনাস্থলে পাওয়া টুকরো, শরিফুলের কাছ থেকে উদ্ধার করা ছুরির সঙ্গে মিলে গিয়েছে।
 
সইফের আবাসনে হামলার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক সাক্ষ্যপ্রমাণ রয়েছে। ফরেন্সিক রিপোর্টও তাঁর বিরুদ্ধেই গিয়েছে। এর আগে আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন শরিফুলের আইনজীবী। একাধিক সাক্ষ্য ও তথ্যপ্রমাণ পেশ করে অভিযুক্তের জামিনের আবেদন নাকচ করার আবেদন জানায় মুম্বই পুলিশ। চার্জশিটে ফিঙ্গারপ্রিন্টের নমুনা পরীক্ষা রিপোর্ট ছাড়াও মুখের আদল শনাক্তকরণ রিপোর্ট, প্রত্যক্ষদর্শীদের দ্বারা অপরাধীদের চেনার রিপোর্ট এবং ফরেনসিক রিপোর্ট রয়েছে।
 
গত ১৬ জানুয়ারি সইফ আলি খানের বাড়ির ১১ তলায় ঢুকে পড়েন এক দুষ্কৃতী। জানা যায়, ওই দুষ্কৃতী প্রথমে সইফ-করিনার বাড়ির পরিচারিকার মুখোমুখি হন। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে বেরিয়ে আসেন সইফ। তখনই তাঁর সঙ্গে হাতাহাতি হয় ওই দুষ্কৃতীর। সেইসময় ওই দুষ্কৃতী সইফের পিঠে বেশ কয়েকবার ছুরি দিয়ে আঘাত করে বলে জানা যায়। এমনকি ছুরির ভাঙা টুকরো অভিনেতার পিঠে গেঁথে গিয়েছিল। লীলাবতি হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে সেটি বের করতে হয়। তবে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ৫ দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে দিব্যি হেঁটে বাড়িতে ঢোকেন সইফ। এত বড় ঘটনার পরও তাঁকে যথেষ্ট শক্ত এবং ফিট মনে হয়েছে। তা দেখেও অনেকেই প্রশ্ন তোলেন।