অন্যদিকে, এক সংবাদপত্রের খবর অনুসারে, আত্মঘাতী তরুণী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ তুলেছে পুলিশ। স্থানীয় থানার পুলিশ মৃতা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ‘দুর্ব্যবহার’ এবং কাজে অসহযোগিতার অভিযোগ দায়ের করেছে আগেই। খবর অনুসারে, ফলটন গ্রামীণ থানার ইনস্পেক্টর সুনীল মহাধিক তাঁর চিঠিতে দাবি করেছেন, ওই তরুণী চিকিৎসক পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করতেন না। আধিকারিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন প্রায়ই।
গত ২২ সেপ্টেম্বর ফলটন জেলার স্বাস্থ্যকর্তার কাছে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ জমা পড়েছিল পুলিশের তরফে, সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ওই চিকিৎসক এক অপরাধীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে অস্বীকার করেন। পুলিশের আশঙ্কা ছিল, এই পরীক্ষা না করালে অপরাধী আইনের হাত থেকে ছাড় পেয়ে যাবে। সেই কথা জানিয়েও চিকিৎসক রাজি হননি তাঁর কাজে। তারপর পুলিশেরই বিরুদ্ধে পাল্টা তাঁকে হেনস্থা করার অভিযোগ তোলেন চিকিৎসক।
মহারাষ্ট্রের সাতারার এই ঘটনায় রাজনীতিতে শুরু হয়েছে তীব্র চাপান-উতোর। তাঁর লেখা চার পাতার সুইসাইড নোটের উঠে এসেছে বিস্ফোরক সব অভিযোগ। চারবার তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই চিকিৎসক। ধর্ষণকারী হিসেবে পুলিশ আধিকারিকের নাম রয়েছে সেই নোটে। শুধু তাই নয়, রাজনৈতিক নেতা তথা সাংসদের বিরুদ্ধেই অভিযোগ সামনে আসছে।
সুইসাইড নোটে উল্লেখ করা হয়েছে, সাংসদের ওই দুই সহকারীকে সার্টিফিকেট দিতে অস্বীকার করেছিলেন তিনি। এরপর হাসপাতালে গিয়ে হাজির হন ওই দু’জন। সেখান থেকেই তাঁরা সাংসদকে ফোন করে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন। ফোনেই সাংসদ তাঁকে হুমকি দেন বলে অভিযোগ।
চিকিৎসকের অভিযোগকে সমর্থন করে তাঁর ভাই জানিয়েছেন, তাঁর বোন বেশ কয়েকবার এমন অভিযোগের কথা জানিয়েছিলেন। এমনকী পুলিশ সুপার ও ডেপুটি পুলিশ সুপারকে এই বিষয়টি জানিয়ে চিঠিও লিখেছিলেন। তারপরও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।