অনড় কেন্দ্র, অধিকাংশ পড়ুয়াই নাকি নিট ও জেইই পরীক্ষার পক্ষে, দাবি পোখরিয়ালের

করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে নিট ও জেইই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে অবিজেপি রাজ্যগুলি।

Written by SNS New Delhi | August 28, 2020 6:11 pm

রমেশ পোখরিয়াল (Photo: IANS/PIB)

জেইই এবং নিট প্রবেশিকা পরীক্ষা পেছনে নিয়ে গোটা দেশে যখন তোলপাড় চলছে, তখন যেমন করেই হোক সারা দেশের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে বাধ্য করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

ছাত্রছাত্রীরা তো বটেই, বিরোধী রাজনৈতিক দল এমনকী চলচ্চিত্র জগৎ থেকেও মোদি সরকারের এই গাজোয়ারি পদক্ষেপের কড়া সমালোচনা করা হচ্ছে, ঠিক সে সময় কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল দাবি করেছেন। অধিকাংশ পড়ুয়াই নাকি কেন্দ্রের সূচি মোতাবেকই পরীক্ষা দেওয়ার পক্ষে।

করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মধ্যে নিট ও জেইই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছে অবিজেপি রাজ্যগুলি। তার আগে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, নির্দিষ্ট সুচি মেনেই পরীক্ষা দিতে আগ্রহী ছাত্রছাত্রীরা।

একটি সর্বভারতীয় দৈনিকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রতিদিন আমি নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠদের (যাঁরা নাকি পরীক্ষা দিতে ইচ্ছুক, কিন্তু মুখ খুলছেন না) অসংখ্য মেইল পাচ্ছি। তাতে অভিভাবক এবং পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, তার মানসিক চাপের মধ্যে আছেন। তারা দু-তিন বছর ধরে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তারা শূন্য শিক্ষাবর্ষ চান না।

অধিকাংশ পড়ুয়া যে নির্দিষ্ট সুচি মেনে পরীক্ষা দিতে আগ্রহী তা প্রমাণের জন্য অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোডের পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তিনি জানান, ৮.৫৮ লাখ জেইই প্রার্থীর মধ্যে ৭.৪১ লাখ জন অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করেছেন। নিটের ক্ষেত্রেও ছবিটা এক। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা যেখানে ১৫.১৭ লাখ, সেখানে প্রথম পাঁচ ঘণ্টায় ৬.৮৪ লাখ পরীক্ষার্থী অ্যাডমিট কার্ড ডাউনলোড করে নিয়েছেন। তা সত্ত্বেও বিরোধীরা অনড়।

পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছে পরীক্ষার্থীদের একাংশও। তাদের প্রশ্ন, এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা কি ৩০ বা ৬০ দিন পিছিয়ে দেওয়া যায় না? মন্ত্রী বলেন, কবে মহামারি শেষ হবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। তাই সাবধানে এগিয়ে যাওয়াই হল সমাধান।

কিন্তু বিকল্প পদ্ধতিও তো ভাবা যেতে পারত। যেমন অনলাইন পরীক্ষার আয়োজন করে বা বোর্ডের নম্বর বিবেচনা করে সরাসরি পরীক্ষার্থীদের বেছে নেওয়া হত? সে বিষয়ে পোখরিয়াল বলেন, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের বাছাইয়ের ক্ষেত্রে একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সবথেকে স্বচ্ছ প্রক্রিয়া হল অবজেক্টিভ টেস্ট এবং বছরের পর বছর ধরে তা বিবর্তিত হয়ে আসছে। আমরা যদি সেই ব্যবস্থা এবং নির্বাচন প্রক্রিয়া পাল্টানোর চেষ্টা করি তাহলে কেরিয়ারের ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের অপূরণীয় ক্ষতি হবে।