ভারত নেপাল সীমান্তে দ্বিতীয় আইসিপি উদ্বোধনে মােদি-ওলি জুটি

ইন্টিগ্রেটেড চেক পােস্ট (আইসিপি) দু’দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা, পারস্পরিক বাণিজ্য ও গতিবিধি সুযােগ দেবে।

Written by SNS New Delhi | January 22, 2020 2:50 pm

প্রধানমন্ত্রী মােদি ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শৰ্মা ওলি। (Photo: IANS/PIB)

ভারত-নেপাল বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী মােদি ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শৰ্মা ওলি যােগবাণী-বিরাটনগর সীমান্ত এলাকায় নির্মিত দ্বিতীয় ইন্টিগ্রেটেড চেক পােস্ট (আইসিপি) উদ্বোধন করেন। লক্ষ্য, দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করার পাশাপাশি দু’দেশের জনগণের মধ্যে যােগাযােগ বৃদ্ধিতেও সহায়ক হবে। আগের বছর মােদি-ওলি জুটি দু’দেশের সীমান্ত এলাকায় প্রথম বাণিজ্যিক তেলের পাইপলাইনের উদ্বোধন করেছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মােদি বলেন, ভারত প্রতিবেশী মিত্র দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করার লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, সংস্কৃতি ও শিক্ষার মতাে গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় সুযােগ তৈরি করতে বদ্ধপরিকর। ভারত ও নেপাল দু’পক্ষ সীমান্ত এলাকায় রেল, সড়ক, ট্রান্সমিশন লাইন সহ একাধিক সংযােগরক্ষামূলক প্রকল্পে কাজ করছে। ইন্টিগ্রেটেড চেক পােস্ট (আইসিপি) দু’দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকা, পারস্পরিক বাণিজ্য ও গতিবিধি সুযােগ দেবে।

ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সহযােগিতায় দ্বিতীয় আইসিপি গঠন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শৰ্মা ওলি বলেন, ‘দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করার লক্ষ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী মােদির সঙ্গে কথা হয়েছে। দু’দেশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে একাধিক ইস্যু পড়ে রয়েছে, যেগুলি আলােচনার মাধ্যমে সমাধান করার সময় এসেছে– কেননা দু’দেশের স্বার্থ জড়িয়ে রয়েছে। দু’দেশের স্থায়ী প্রশাসনের সামনে একটা বড় সুযােগ এসেছে। আমার প্রশাসন ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত কার লক্ষ্যে কাজ করতে আগ্রহী’।

নেপালে ধংসাত্মক ভূমিকম্পের পর ভারত পুনর্গঠনের লক্ষ্যে সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দিয়ে গােরখা ও নুয়াকোট জেলায় ৫০,০০০ বাড়ি নির্মান করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তার মধ্যে ৪৫,০০ বাড়ি তৈরি হয়ে গেছে। আগের বছর প্রধানমন্ত্রী মােদি ও নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলি প্রথম সীমান্তপারে বাণিজ্যিক ওয়েল পাইপলাইনের উদ্বোধন করেছিল। ভারতের মােতিহারি থেকে অমলখেগঞ্জের মধ্যে পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্য ডিজেল, এলপিজি ও অ্যাভিয়েশন টারবাইন অয়েল সরবরাহ করার লক্ষ্যে ২০ বছর আগে বাণিজ্যিক ওয়েল পাইপলাইনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।