দিল্লি, ১০ ফেব্রুয়ারি: সামনেই লোকসভা ভোট। সেই ভোটে মানুষের মন পেতে নানান দাওয়াই কেন্দ্রের মোদী সরকারের। সেজন্য ভারতরত্নের পর এবার ‘ইপিএফ’ দাওয়াই। দীর্ঘ ক্ষরার পর ৬ কোটি পরিবারের মন পেতে ইপিএফে সুদের হার বাড়াল কেন্দ্র সরকার। এই খাতে নামমাত্র সুদ বাড়াল কেন্দ্র।
নরেন্দ্র মোদীর দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রিত্বের আমলে ইপিএফে সুদের হার ৮.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৮.১ শতাংশ করা হয়েছিল। আগে যে সুদ ৮.১ শতাংশে নামিয়ে এনেছিল কেন্দ্র, সেখান থেকে গতবার মাত্র ৫ পয়সা বাড়ানো হয়েছিল। এখন সেই সুদের হারে মাত্র ১০ পয়সা বাড়ল। অর্থাৎ ৮.১৫% থেকে বাড়িয়ে ৮.২৫% করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্মচারী ভবিষ্যনিধি সংগঠন (ইপিএফও)। শনিবার এই কথা ঘোষণা করল এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন (EPFO)। তিন বছর আগে অনেকটাই নামানো হয়েছিল ইপিএফ-এর সুদ। এবার সেটা বাড়ানো হল। ফলে গত তিন বছরে এটাই সর্বোচ্চ।
Advertisement
উল্লেখ্য, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ইপিএফে সুদের হার ছিল ৮.১০%। যা গত চার দশকে সর্বনিম্ন। সেখান থেকে গতবার মাত্র ৫ পয়সা বাড়ানো হয়েছিল। এবার আরও ১০ পয়সা বাড়ানো হল। অর্থাৎ ৮.১০% থেকে বেড়ে হল ৮.২৫%।
Advertisement
২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৮.১৫ শতাংশ হারে সুদ মিলেছিল ইপিএফে। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে তা বেড়ে ৮.২৫ শতাংশ হতে পারে বলে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে। তবে প্রথা মেনে মার্চেই কর্মচারী ভবিষ্যনিধি কর্তৃপক্ষ তা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করতে পারে।
দ্রব্যমূল্যের লাগাতার বৃদ্ধি লেগেই চলেছে। শাকসবজি থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম বাড়ছে হু হু করে। তার মাঝে ইপিএফে সুদের হার বৃদ্ধিতে স্বভাবতই খুশি চাকরিজীবীরা। তবে লোকসভা ভোটের আগে ইপিএফে সুদের হার বৃদ্ধিকে নির্বাচনী কৌশল হিসাবেই দেখছেন রাজনীতির কারবারিরা।বর্তমানে সারা দেশে প্রায় ৬ কোটি কর্মচারী ইপিএফের আওতায় রয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছেন সরকারি ও বেসরকারি কর্মীরা। সেই ৬ কোটি কর্মীর পরিবারের ভোট পেতেই এই পদক্ষেপ বলে মনে করছে দেশের রাজনৈতিক মহল।
তবে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে এখনও সিলমোহর পড়তে বাকি আছে। এজন্য লাগবে কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রকের সম্মতি। সেই সম্মতি পেলেই ২০২৩-২৪ সালের জমা অর্থের ওপর এই সুদের হার লাগু হতে আর কোনও বাধা থাকবে না।
Advertisement



