• facebook
  • twitter
Friday, 11 October, 2024

জাতীয় সম্মেলনে দলের নেতা-কর্মীদের ভোটে ঝাঁপিয়ে পড়ার বীজ মন্ত্র দিলেন মোদী

দিল্লি, ১৮ ফেব্রুয়ারি: আজ, রবিবার রাজধানী দিল্লিতে বিজেপি-র জাতীয় কনভেনশনে বক্তব্য দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকসভা ভোটের মুখে এই জাতীয় কর্মী সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কার্যত লোকসভা ভোটের অলিখিত প্রচার শুরু করে দিলেন মোদী। সেই সঙ্গে দলের নেতা ও কর্মীদের লোকসভা ভোটের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য উজ্জীবিত করলেন। এদিন একের পর এক বিস্ফোরক বক্তব্যে কার্যত হাওয়া

দিল্লি, ১৮ ফেব্রুয়ারি: আজ, রবিবার রাজধানী দিল্লিতে বিজেপি-র জাতীয় কনভেনশনে বক্তব্য দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। লোকসভা ভোটের মুখে এই জাতীয় কর্মী সম্মেলনের মধ্য দিয়ে কার্যত লোকসভা ভোটের অলিখিত প্রচার শুরু করে দিলেন মোদী। সেই সঙ্গে দলের নেতা ও কর্মীদের লোকসভা ভোটের প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য উজ্জীবিত করলেন। এদিন একের পর এক বিস্ফোরক বক্তব্যে কার্যত হাওয়া গরম করে দেন তিনি। তুলে ধরেন মোদী সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সাফল্যের খতিয়ান। সেই সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দলের জাতীয় ও রাজ্য স্তরের গুরুত্বপূর্ণ নেতা, কর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা।

আগামীতে সরকারের কার্যক্রমে কী কী রূপরেখা রয়েছে, দলের কর্মীদের তাঁরও আভাস দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে অর্থনীতিতে দেশকে তৃতীয় স্থানে নিয়ে যাব। আমাদের প্রতিশ্রুতি উন্নত ভারত তৈরি করা। ভারতের উন্নয়ন আমাদের স্বপ্ন, সংকল্প। দেশের কোটি কোটি মানুষের স্বপ্নই আমার সংকল্প। ভারত আজ সব ক্ষেত্রে উন্নতির শিখরে পৌঁছেছে।

এদিন বিজেপি-র জাতীয় কর্ম সমিতির বৈঠকে উঠে আসে সন্দেশখালি প্রসঙ্গও। নিন্দা করা হয় সন্দেশখালি কাণ্ডে শাসকদলের ভূমিকা নিয়ে। তুলে ধরা হয় দেশের মহিলাদের জন্য মোদী সরকার কী কী কাজ করেছে। তিনি বলেন, লালকেল্লা থেকে মহিলাদের ওপর অত্যাচার নিয়ে সরব হয়েছি। এক কোটি মহিলাকে লাখপতি দিদি তৈরি করেছি। আমরা ২৫ কোটি মহিলার জন্য ব্যাঙ্ক একাউন্ট খুলে দিয়েছি।

এই দলীয় সম্মেনলনে কংগ্রেস সহ বিরোধীদের বিরুদ্ধে সুর চড়ান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেসের থেকে দেশ বাঁচাতে বিজেপি-কে জরুরি। উন্নয়নের এজেন্ডা নেই কংগ্রেসের। সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেশের সেনাদের অপমান করেছে কংগ্রেস। মিথ্যে প্রতিশ্রুতিতে বিরোধীদের জুড়ি নেই। এরা ভারতকে বিকশিত করতে পারবে না।

মোদী বলেন, আমি রাজনীতি নয়, রাষ্ট্রনীতিতে বিশ্বাসী। দীর্ঘ অপেক্ষার পর তিন তালাক, ৩৭০ ধারা রদ করেছি। তিন তালাকের বিরুদ্ধে কঠোর আইন আনার সাহস আমরা দেখিয়েছি। সাত দশক পর কর্তারপুর করিডোরের দরজা খুলেছি। দেশের যুব সমাজ দেশকে উন্নত ভারত হিসেবে গঠন করার রোড ম্যাপ তৈরি করছে।

মোদী এদিন তাঁর গেরুয়া সেনাদের লোকসভা ভোটের টার্গেট বেঁধে দেন। বলেন, বিজেপি কর্মীরা ২৪ ঘন্টা দেশের জন্য কাজ করছে। বাড়ি বাড়ি বাড়ি পৌঁছে আমাদের সবার বিশ্বাস অর্জন করতে হবে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-কে ৩৭০-এর বেশি আসন পেতে হবে। উন্নয়নের জন্য বিজেপি-কে ফের সরকারে ফিরে আসা জরুরি। তিনি দাবি করেন, এখন বিরোধীরাও বলছে এনডিএ ৪০০-র বেশি আসন পাবে। ২০২৪ লোকসভা ভোটে সবচেয়ে বেশি আসন পাবে বিজেপি। মোদী এবারের লোকসভা নির্বাচনে ৪০০ আসন পার করার স্লোগানও দেন।