এইচআইভি’তে দেশের শীর্ষে মিজোরাম, দিনে ৯টি করে পজিটিভ কেস নথিভুক্ত হয়

এইচআইভি এখন মিজোরাম সরকারের মাথাব্যথার কারণ। রিপাের্ট বলছে, দেশের বাকি রাজ্যকে পিছনে ফেলে এইচআইভি প্রসারে শীর্ষে উঠে এসেছে মিজোরাম।

Written by SNS Aizawl | October 21, 2019 3:17 pm

প্রতিকি ছবি (Photo: iStock)

হিউম্যান ইমিউনােডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস বা এইচআইভি এখন মিজোরাম সরকারের মাথাব্যথার কারণ। রিপাের্ট বলছে, দেশের বাকি রাজ্যকে পিছনে ফেলে এইচআইভি প্রসারে শীর্ষে উঠে এসেছে মিজোরাম। স্বাভাবিক কারণেই মিজোরাম প্রশাসনের কাছে বিষয়টি উদ্বেগের। মিজোরাম স্টেট এইডস কন্ট্রোল সােসাইটির (এমএসএসিএস) আর একটি রিপাের্ট থেকে জানা যাচ্ছে, রাজ্যে রােজ গড়ে ৯ জনর রক্তপরীক্ষায় এইচআইভি পজিটিভ ধরা পড়ছে।

অপর এক রিপাের্ট অনুযায়ী, এইচআইভি ভাইরাস সংক্রমণ প্রবণতা যে রাজ্যগুলিতে সব থেকে বেশি, সেই তালিকায় মিজোরাম শীর্ষ স্থানে রয়েছে (২.৪ শতাংশ)। তালিকায় পরবর্তী স্থানগুলিতে রয়েছে যথাক্রমে মণিপুর (১.৪৪ শতাংশ) ও নাগাল্যান্ড (১.১৫ শতাংশ)।

মিজোরাম স্টেট কন্ট্রোল সােসাইটির কার্যনির্বাহী অধিকর্তা ডক্টর লালথালেংলিনীর জানান, এইচআইভি পজিটিভ কেসগুলি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ২৫ থেকে ৩৪ বছর বয়সী পুরুষ ও নারীদের মধ্যে এই রােগ সংক্রমণের প্রবণতা সব থেকে বেশি। পাশাপাশি ৩৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী পুরুষ ও নারীদের মধ্যেও এই রােগ সংক্রমণের প্রবণতা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি জানান, ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী তরুণ-তরুণীরাও আক্রান্তের তালিকায় রয়েছেন। এই তিনটি বয়সের গ্রুপের ক্ষেত্রে এইচআইভি বিস্তারের হার যথাক্রমে ৪২.৩৮ %, ২৬.৪৬ % এবং ২৩.০ %।

মিজোরামে বিপুল হারে এইচআইভি ছড়িয়ে যাওয়ার কারণ হিসাবে অসুরক্ষিত যৌন সংসর্গকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। বর্তমানে এই রাজ্যে অসুরক্ষিত যৌন সংসর্গের মাধ্যমে এই মারণ রােগ ছড়িয়ে পড়ার হার প্রায় ৬৭.২১ শতাংশ ছুঁয়েছে। ১ শতাংশের বেশি সংক্রমণ হচ্ছে সমকামিতার কারণে। এছাড়া সংক্রামিত ছুঁচ ও ব্লেড ব্যবহারের কারণে প্রায় ২৮.১২ শতাংশ এইচআইভি ভাইরাসের শিকার হচ্ছেন বলে একটি বিশেষ রিপাের্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

এইচআইভি’র এই বাড়বাড়ন্ত রুখতে রাজ্যব্যাপী সচেতনতা গড়ে তােলার ডাক দিয়েছেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গা। ন্যাশনাল কন্ট্রোল অর্গানাইজেশনের (ন্যাকো) একটি তথ্য মারফত জানা যায়, ২০১৭ সালে দেশজুড়ে প্রায় ৬৯ হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারায় এইডসের আক্রমণে। পাশাপাশি ন্যাকোর অপর একটি রিপাের্ট দেখা যায় অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানা, দিল্লি ও উত্তরাখণ্ডে এইডসের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা তাৎপর্যপূর্ণভাবে কমেছে।