কৃষকদের মুক্তির মাইলফলক: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। (Photo: Twitter/@BJP4India)

প্রবল বিরােধিতা ছিল বিরােধীদের। তা সত্ত্বেও রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গেল জোড়া কৃষি বিল । আর এই ঘটনাকেই ভারতীয় কৃষি ব্যবস্থার ইতিহাসে মাইলফলক বলে উল্লেখ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি। 

এদিন এই বিলের বিরােধিতা করে সম্মিলিতভাবে সব বিরােধী দলই। কংগ্রেস, তৃণমূল, বামফ্রন্ট, ডিএমকে, আরজেডি, আকালি দল, বিজেডি, টিআরএস, এই বিলের বিরােধিতা করে। বিরােধীরা এই বিলের বিরােধিতা করলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি এই বিলকে দরাজ শংসাপত্র দিয়েছেন। 

তিনি বলেছেন, দশকের পর দশক ধরে কৃষকরা নানাভাবে আক্রান্ত হয়েছেন বিভিন্ন বাধা ও ফড়েদের কবলে পড়ে। এবার তাদের এই অবস্থা থেকে মুক্তি ঘটবে। স্বাধীনতার পর থেকে দেশের কৃষকদের আয় বৃদ্ধির জন্য একাধিক বিষয়ে একাধিক কমিশন তৈরি হয়েছিল। কিন্তু তাদের সুপারিশ কেউ কোনও দিন কার্যকর করেনি। এর জন্য নাম না করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন মােদি। 


উল্লেখ্য, এই কৃষি বিল নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের উপর রীতিমতাে চাপ তৈরি হয়েছিল। এনডিএ’র অন্যতম শরিক শিরােমণি আকালি দলের নেত্রী হরসিমরত কাউর বাদল মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফা দেন। 

সারা দেশ জুড়ে ২৫ তারিখ কৃষক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ এই বিলের বিরােধিতা করে দেশজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে। কৃষকদের উপর বুলডােজার চালিয়ে কর্পোরেট জগতকে এই ক্ষেত্রে আরও বেশি লুঠ করতে দিতে এই বিল বলে মন্তব্য করেছেন বিরােধি নেতারা।