প্রেমের সম্পর্কে আপত্তি পরিবারের, যুবক-যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। বিহারের মোতিহারি জেলার চিরাইয়া থানা এলাকার ঘটনা। দু’জনের সম্পর্কের কথা জানাজানি হতেই পরিবারের সদস্যরা আপত্তি জানায়। পরবর্তীতে ওই যুবক-যুবতী গোপনে দেখা করতে শুরু করে। বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে ফের পরিবারের সদস্যরা মেলামেশায় আপত্তি জানায়। এরপর দু’জনেই বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চিরাইয়া থানা এলাকার রাজদেব পাসওয়ানের ছেলে অমিত কুমারের বয়স প্রায় ২১ বছর। তাঁর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল একই গ্রামের রমেশ ঠাকুরের মেয়ে রানী কুমারীর। একই স্কুলে পড়াশোনা করেছে তাঁরা। স্কুল ছুটির পরে তাঁরা দু’জনেই প্রায়ই দেখা করত। সম্প্রতি পরিবারের সদস্যরা তাঁদের দুজনকেই বকাঝকা করে। মেয়েটির মোবাইল ফোনও কেড়ে নেওয়া হয়।
Advertisement
এরপরই তাঁরা নিজেদেরকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গভীর রাতে আম বাগানে গিয়ে আত্মহত্যা করেন তাঁরা। ছেলেটির আঙুল কাটা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে এবং মেয়েটির চুলের অংশ রক্তে মিলেছে। আত্মহত্যা করার কিছুক্ষণ আগে, অমিতের মোবাইল থেকে ১১২ নম্বরে একটি কল আসে। যদিও পুলিশ এলাকায় পৌঁছে দেখে, দু’জনেই মারা গিয়েছেন। অমিতের যে মোবাইল ফোন থেকে ১১২-তে কল করা হয়েছিল, সেটি ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।
Advertisement
অমিতের ভাইয়ের কাছ থেকে মোবাইলটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। দু’জনে অত উঁচুতে থাকা গাছের ডালে কীভাবে পৌঁছল, সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাঁদের দুজনকেই খুন করে দেহ গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল, নাকি তাঁরা আত্মহত্যা করেছেন, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
Advertisement



