করোনাভাইরাস মোকাবিলায় লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা নেই বলে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় একুশ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। ১৪ এপ্রিল লকডাউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তা আবার সম্প্রসারিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে গুজব ছড়ানো হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। ফলে মানুষের মনে লকডাউন নিয়ে এক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌরা জানান, এই ধরনের মিডিয়া রিপোর্ট দেখে অবাক হচ্ছি। লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানোর কোনও পরিকল্পনা কেন্দ্রের নেই বলে তিনি সাফ জানিয়েছেন।
Advertisement
এদিন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের প্রেস ইনফরমেশন ব্যুরোর তরফেও বলা হয়েছে যে, এ ব্যাপারে কিছু সংবাদমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে ও গুজব ছড়িয়েছে। কিন্তু ক্যাবিনেট সচিব জানিয়েছেন এ সব কথার কোনও ভিত্তি নেই। দেশ জুড়ে যে লকডাউন শুরু হয়েছে তা যাতে স্বতঃস্ফুর্ত ও সর্বাত্মক হয় সে ব্যাপারে কেন্দ্র মোদি সরকার বারবার আবেদন জানাচ্ছেন দেশবাসীকে।
Advertisement
রবিবার মন কি বাত অনুষ্ঠানেও প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, নিজের ও পরিবারের মঙ্গলের জন্যই মানুষের উচিত ঘরের চৌকাঠের বাইরে পা না রাখা। কারণ, সংক্রমণের শৃঙ্খল এতেই ভাঙ সম্ভব হবে। রাজ্য সরকারগুলিও লকডাউন পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য যথাসাধ্য করছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তারা বলছেন, ভারত এখন খুব স্পর্শকাতর পরিস্থিতিতে রয়েছে। লকডাউনের মাধ্যমে সংক্রমণ শৃঙ্খল ভেঙে এখন সরকারের কাজ হল করোনাভাইরাসের ইতিমধ্যে যাঁরা সংক্রামিত হয়েছে তাঁদের খুজে বের করা। কারও শরীরের এ ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে বা সন্দেহ হলে তক্ষুণি পরীক্ষা করা। করোনার সংক্রমণ তাঁর দেহে ধরা পড়লে তাঁকে অন্যান্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন করে আইসোলেশনে রাখা।
এই প্রক্রিয়া যত দ্রুত ও সুচারুভাবে করা যাবে তত দ্রুত ভারত এই সংক্ৰমণ মুক্ত হবে। তবে পর্যবেক্ষকরা অনেকে বলছেন, ২১ দিনে লকডাউন শেষ হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগতে পারে।
খোদ ট্রাম্প এদিন বলেছে, আমেরিকায় ১ জুন থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে তিনি আশা করছেন। মনে করা হচ্ছে, যে ব্রিটেন ও ইউরোপের অন্য দেশেও তার আগে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরবে না। বিশ্বায়নের যুগে ভারত এদের থেকে এখন আর বিচ্ছিন্ন নয়। ফলে এই দেশগুলিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল, রফতানি বাণিজ্য সই থমকে থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
Advertisement



