করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় লকডাউন ব্যবস্থায় সুফল ফলেছে : কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’র পক্ষে দাবি করা হয়েছে লকডাউনের ফলে করোনাভাইরাস গোষ্ঠীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েনি।

Written by SNS New Delhi | March 31, 2020 7:32 pm

দেশজুড়ে লকডাউন। (File Photo: AFP)

করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের লকডাউন ঘোষণায় সুফল ফলেছে বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও বিগত চব্বিশ ঘণ্টায় নতুন করে ৯২ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং চার জনের মৃত্যু হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সুত্রে জানানো হয়েছে। তবে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ’র পক্ষে দাবি করা হয়েছে লকডাউনের ফলে করোনাভাইরাস গোষ্ঠীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েনি। এখন যা সংক্রমণ হচ্ছে তা সবই স্থানীয়ভাবে এবং সীমিত জায়গার মধ্যে।

সরকারের পক্ষে এদিন এগারোশো আক্রান্ত ও ২৯ মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। মন্ত্রক সুত্রে জানানো হয়েছে যারা আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের উৎস সম্পর্কে আমরা জানতে পারছি এবং তা চিহ্নিত করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে। মূলত বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের মাধ্যমেই কিছু পরিমাণে ছড়িয়েছে এই সংক্রমণ।

পর্যায় তিন অর্থাৎ কোনও সংক্রামিত ব্যক্তি কারও সংস্পর্শে আসেননি, অথচ কোনও গোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে তখন বলা যাবে গোষ্ঠী সংক্রমণ। তেমন কোনও ঘটনা পাওয়া যায়নি বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রক সুত্রে জানানো হয়েছে। এমন পর্যায়ে পড়লে ভারতে সংক্রমণ ভয়াবহ রূপ নেবে এবং তা নিয়ন্ত্রণ করা প্রায় অসাধ্য হয়ে পড়বে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন।

গত মঙ্গলবার থেকে দেশে লকডাউন চলছে এই সংক্রমণ সীমাবদ্ধ করার জন্য। কারণ এর মধ্যেই বিশ্বে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৩০ হাজার মানুষের। ২২ মার্চ দেশের ২৩’টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৭৫’টি জেলায় করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার খবর পাওয়া যায়। ২৮ মার্চ তারিখে ২৭ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ১৬০ জেলায় ছড়িয়ে পড়ে।

বিগত ছয় দিনে করোনায় সংক্রামিত হওয়ার সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে কিন্তু অনেকে আবার সুস্থও হয়েছেন। লকডাউনের ফলে, সোশ্যাল ডিসটান্সিংয়ের ফলে সুফল পাওয়া গিয়েছে বলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সুত্রে দাবি করা হয়েছে।