উত্তর প্রদেশের কানপুরের এক মহিলা কনস্টেবল নৌবাহিনীর জওয়ানের বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। নির্যাতিতার অভিযোগ, নৌবাহিনীর জওয়ান প্রথমে তাঁকে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল এবং তারপর বেশ কয়েকবার ধর্ষণ করেছিল। এর পর ওই জওয়ান অন্য একটি মেয়েকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। নির্যাতিতা মহিলা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং ন্যায়বিচারের আবেদন করেছেন।
নৌবাহিনীর ওই জওয়ান রায়বেরেলির বাসিন্দা। তার নাম কৃষ্ণ প্রতাপ সিং। তার বোনের বিয়ে হয়েছে কানপুরের বিধানুতে। সেখানেই ওই মহিলা কনস্টেবল থাকেন। ওই জওয়ান প্রায়ই তার বোনের শ্বশুরবাড়িতে যাতায়াত করে। এর ফলে, মহিলা কনস্টেবল এবং কৃষ্ণ প্রতাপ সিংয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়। মহিলা কনস্টেবল জানান, আগে আপত্তি জানানো সত্ত্বেও, কৃষ্ণা তার কাজের জায়গায় পৌঁছতেন। সে দাবি করে, সে মহিলা কনস্টেবলের প্রেমে পড়েছে এবং তাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল।
Advertisement
মহিলা কনস্টেবল অভিযোগ করেছেন, ২০২৩ সালে, কৃষ্ণপ্রতাপ তাকে কানপুর সেন্ট্রালে অবস্থিত গ্যালাক্সি হোটেলে ডেকেছিলেন। প্রথমে, সে সেখানেই মহিলা কনস্টেবলকে ধর্ষণ করে। এরপর, সে মহিলা কনস্টেবলকে প্রয়াগরাজে নিয়ে যায় এবং তাকে ধর্ষণ করে। শুধু তাই নয়, কৃষ্ণপ্রতাপ এরপর মহিলাকে লখনউয়ের একটি হোটেলে ডেকে নিয়ে যায়। জোর করে তিন দিন সেখানে আটকে রাখে এবং তাকে ধর্ষণ করে।
Advertisement
ইতিমধ্যে, কৃষ্ণর বাবা বিয়ের কথা বলতে নির্যাতিতা মহিলার বাড়িতে এসেছিলেন। তার ছেলের নৌবাহিনীতে চাকরির কথা উল্লেখ করে তিনি ২০ লক্ষ টাকা, একটি গাড়ি দাবি করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে গাড়ি এবং টাকা ছাড়া বিয়ে হবে না।
পরে জানা যায়, নৌবাহিনীর জওয়ান কৃষ্ণের বিয়ে প্রতাপগড়ের এক মেয়ের সঙ্গে ঠিক হয়েছে। মহিলা কনস্টেবল জানান, ২১ ফেব্রুয়ারি কৃষ্ণার তিলক এবং ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রতাপগড়ের মেয়েটির সঙ্গে বিয়ে হবে। পুলিশ ওই জওয়ানের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
Advertisement



