খুব তাড়াতাড়ি ‘এক দেশ, এক ভোট’ নিয়ে যৌথ সংসদীয় কমিটি নিজেদের প্রস্তাব জমা দেবে সংসদে। বৃহস্পতিবার বৈঠকের পর যৌথ সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যান পিপি চৌধুরি এই কথা জানান। এইদিন কমিটির কাছে ‘এক দেশ, এক ভোট’ নিয়ে মতামত জানান ভারতীয় ল’ কমিশনের ২৩তম চেয়ারম্যান তথা সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী।
এর আগে কংগ্রেসের প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, মুকুল ওয়াসনিক, বিজেপির অনুরাগ ঠাকুররা সংসদে নিজেদের বক্তব্য রাখেন। দীনেশ মাহেশ্বরী কমিটিকে বলেন যে, নির্বাচন কবে হবে তা ভোটাররা ঠিক করতে পারেন না। বিরোধীরা পাল্টা প্রশ্ন করে, বর্তমানে ভোটারদের সুযোগ রয়েছে রাজনৈতিক দলের কার্যকারিতা বিচার করে পরের নির্বাচনে নিজেদের মত প্রকাশ করার। এই সুযোগ না থাকলে ভোটারদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে।
Advertisement
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘এক দেশ, এক ভোট’ প্রকল্প নিয়ে নিয়ে তীব্র আপত্তি কংগ্রেসের। হাত শিবিরের শীর্ষ নেতৃত্বের অনুমান, কেন্দ্রের ওরাজ্যের ভোট মিলিতভাবে হলে জাতীয়তাবাদের অজুহাতে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনগুলিতেও বিজেপি অতিরিক্ত সুবিধা পাবে। কংগ্রেসের একাংশ মনে করছে, লোকসভা এবং বিধানসভা ভোট যৌথভাবে হলে বিজেপির পাশাপাশি জাতীয় দল হিসাবে হাত শিবিরও লাভবান হবে। রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলির চিন্তাভাবনা কংগ্রেসের সঙ্গে মিলে গেলেও তারা স্থানীয় ইস্যুতে লড়াই করে বেশি সুবিধা পাচ্ছে।
Advertisement
রাজনৈতিক মহল মনে করছে, কংগ্রেসের এক্ষেত্রে বিরোধিতা করার অনেকগুলি কারণ রয়েছে। লোকসভা এবং বিধানসভা ভোট যৌথভাবে হলে কংগ্রেস যে সুবিধা পেতেপারে সেই সুবিধা নেওয়ার মতো জনপ্রিয় কেন্দ্রীয় নেতা কংগ্রেসের কাছে নেই। পাশাপাশি গোটা ভারতকে এক সূত্রে গাঁথার মতো কোনও শক্তিশালী ইস্যুও কংগ্রেসের হাতে নেই। বিজেপি শুধুমাত্র হিন্দুত্বের কথা বলে গোটা দেশকে এক সুতোয় বাঁধতে পারে, সেই একই কাজ করার মতন অস্ত্র কংগ্রেসের কাছে নেই। ভোটের সময় আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোট করে বিভিন্ন রাজ্যে নিজেদের অস্তিত্ব
Advertisement



