• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

ছত্তিশগড়ে মাওবাদী চক্রান্ত ভেস্তে দিল যৌথবাহিনী, সুকমায় উদ্ধার ৪০ কিলোগ্রামের আইইডি

বস্তার ডিভিশনের বিস্তীর্ণ এলাকায় একের পর এক যৌথ অভিযান চলায় ক্রমশই কোণঠাসা হয়ে পড়ছে মাওবাদীরা। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বহু সংঘর্ষে মাওবাদীদের মৃত্যু ও আত্মসমর্পণ ঘটেছে।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

ফের মাওবাদীদের বিরুদ্ধে বড় সাফল্য পেল ছত্তিশগড় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। সোমবার সকালে বস্তার ডিভিশনের সুকমা জেলার ঘন জঙ্গলে চিরুনি তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার করা হয়েছে ৪০ কিলোগ্রামের একটি শক্তিশালী ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি)। সময়মতো নিষ্ক্রিয় না করা গেলে বিস্ফোরণের জেরে ভয়াবহ ক্ষতি হতে পারত বলে জানিয়েছেন আধিকারিকরা।

ছত্তিশগড় পুলিশের দাবি, কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশবাহিনী (সিআরপিএফ)-র কনভয় লক্ষ্য করেই ওই বিস্ফোরক ফাঁদ পেতে রেখেছিল নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-এর সশস্ত্র শাখা ‘পিপল্‌স লিবারেশন গেরিলা আর্মি’ বা পিএলজিএ। পাহাড়ঘেরা ফুলবাগদি-বাদেশেট্টি সড়কের ধারে মাটির নিচে চাপা অবস্থায় বিস্ফোরকটি উদ্ধার করে নিষ্ক্রিয় করা হয় সিআরপিএফের ১৫৯ নম্বর ব্যাটালিয়ন ও সুকমা জেলা পুলিশের যৌথ অভিযানে।

Advertisement

অভিযানরত বাহিনীর এক কর্তা জানিয়েছেন, ‘জঙ্গলের ভেতর ওই রাস্তা দিয়ে প্রায়ই বাহিনীর টহল দেওয়া টিম ও কনভয় যাতায়াত করে। সেখানে মাওবাদীরা ফাঁদ পেতে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করেছিল।’

Advertisement

উল্লেখ্য, গত ৯ জুন এই একই এলাকার অদূরে মাওবাদীদের পাতা আইইডি বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছিলেন সুকমার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কোন্টা বিভাগ) আকাশ রাও গিরেপুঞ্জে এবং আরও দুই পুলিশকর্মী। তার পর থেকেই ওই এলাকায় ব্যাপক তল্লাশি শুরু হয়।

বস্তার ডিভিশনের বিস্তীর্ণ এলাকায় একের পর এক যৌথ অভিযান চলায় ক্রমশই কোণঠাসা হয়ে পড়ছে মাওবাদীরা। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে বহু সংঘর্ষে মাওবাদীদের মৃত্যু ও আত্মসমর্পণ ঘটেছে। তবে পুলিশ আশঙ্কা করছে, মরিয়া মাওবাদীরা ফের কোনও বড় প্রত্যাঘাতের চেষ্টা চালাতে পারে। সেই আশঙ্কা মাথায় রেখেই গোটা এলাকায় বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা।

Advertisement