• facebook
  • twitter
Tuesday, 15 July, 2025

ডানার সমস্যা সহ দুর্ঘটনার তিন সম্ভাব্য কারণ ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের

ইতিমধ্যেই বিমানের দুইটি ব্ল্যাক বক্সের মধ্যে একটি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ব্ল্যাক বক্সটি একটি ডিজিটাল ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার।

বিমান দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে উদ্ধারকারী দল।

আহমেদাবাদে বিমান দুর্ঘটনার পর কেটেছে তিন দিন। এর মধ্যে এই দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছে ভারত সরকার। তিন মাসের মধ্যে তাদের দুর্ঘটনা সম্পর্কিত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। এরই মধ্যে তদন্তকারী দল মূলত দুর্ঘটনার তিনটি কারণের দিকে নজর রেখেছে। দুর্ঘটনার পরে অনেকে মনে করেছিল, পাখির ধাক্কায় এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। কিন্তু তদন্তকারীদের দাবি, পাখির ধাক্কার কারণে এই বিমান দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে তাঁরা মনে করছেন না। তার বদলে সম্ভাব্য তিনটি কারণ নিয়ে তদন্তকারীদের ভাবাচ্ছে। ইতিমধ্যেই বিমানের দুইটি ব্ল্যাকবক্সের মধ্যে একটি ব্ল্যাক বক্স উদ্ধার করা হয়েছে। সেই ব্ল্যাক বক্স পরীক্ষা করে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা।

কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের তদন্তদলের সদস্যরা ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পাশাপাশি ঘটনাস্থলে গিয়েছেন এয়ার ইন্ডিয়ার আধিকারিকরাও। তবে তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে এখনও পর্যন্ত কেউ মুখ খোলেনি। তবে একটি সংবাদসংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তিনটি সম্ভব্য কারণ তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে। প্রথমত, বিমানের ইঞ্জিন থ্রাস্টে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি ছিল কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রানওয়ে ছাড়ার পর যে বল বিমানকে শূন্যে ভাসিয়ে রাখে এবং সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যায়, তাকেই থ্রাস্ট বলে।

এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটির পাইলট শেষ মুহূর্তে এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। সেখানে মে ডে কল অর্থাৎ বিপদবার্তা পাঠিয়েছিলেন। একটি অডিয়োতে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছে, থ্রাস্ট পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বিমানটি নিচের দিকে নেমে যাচ্ছে। দ্বিতীয় কারণ হিসেবে বিমানের ডানার সমস্যার প্রসঙ্গ উঠে আসছে। ডানার পিছনের দিকের ‘ফ্ল্যাপ’–এ সমস্যা থাকতে পারে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। এই ফ্ল্যাপ আকাশে বিমানকে ভেসে থাকতে সাহায্য করে। তৃতীয় কারণ হিসেবে সামনে আসছে ল্যান্ডিং গিয়ারে সমস্যার বিষয়টি। টেকঅফের পর সঠিক সময় বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়ার বন্ধ হয়নি। তাই তদন্তকারীরা মনে করছেন, সেখানে কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি হয়ে থাকতে পারে। সেই কারণেও বিমানটি দুর্ঘটনার কবলে পড়তে পারে। এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটিতে রক্ষণাবেক্ষণের কী কী ত্রুটি ছিল তা–ও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী দলটি।

ইতিমধ্যেই বিমানের দুইটি ব্ল্যাক বক্সের মধ্যে একটি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া ব্ল্যাক বক্সটি একটি ডিজিটাল ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার (বিমানের তথ্য সংরক্ষণকারী যন্ত্র)। অন্য যে ব্ল্যাক বক্সটি উদ্ধার হয়নি সেটি ককপিট ভয়েস রেকর্ডার (ককপিটের শব্দ, কথোপকথন সংরক্ষণকারী যন্ত্র)। উদ্ধার হওয়া ব্ল্যাক বক্সের খুব একটা ক্ষতি হয়নি। সেই কারণে দুর্ঘটনার কারণ জানতে খুব বেশি অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। আপাতত ব্ল্যাক বক্সটি পরীক্ষা করে দেখছেন তদন্তকারীরা। অন্য ব্ল্যাক বক্সটির খোঁজ চালানো হচ্ছে।