ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরে রেল দুর্ঘটনার পিছনে চালকের অবহেলাই দায়ী , এমনই তথ্য সামনে এসেছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে প্রকাশ, যাত্রীবাহী ট্রেনটি মালগাড়িটিকে ধাক্কা দেওয়ার আগে একাধিক বিপদ সংকেত উপেক্ষা করেছিল। প্রচণ্ড গতিতে ছুটতে থাকা ট্রেনটিকে সতর্ক করা হলেও সেইসব সংকেত অগ্রাহ্য করেন যাত্রীবাহী ট্রেনের চালক। প্রাথমিক তদন্তে এটিই দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে উঠে এসেছে।
গত মঙ্গলবার বিকেলে ছত্তিশগড়ের বিলাসপুরে মালগাড়ির সঙ্গে যাত্রীবাহী ট্রেনের সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১। দুর্ঘটনার অভিঘাতে দুমড়ে-মুচড়ে যায় ট্রেনের বগি, বহু দেহ আটকে পড়ে ধ্বংসস্তূপে। উদ্ধারকারী দলের দীর্ঘক্ষণের প্রচেষ্টায় মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
Advertisement
এই দুর্ঘটনায় সংঘর্ষের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, যাত্রীবাহী ট্রেনটির একটি কামরা মালগাড়ির ওয়াগনের উপরে উঠে যায়। জানা গিয়েছে, অতিরিক্ত গতিতে থাকা ট্রেনটিকে সতর্কবার্তা দেওয়া হলেও তা অগ্রাহ্য করেছিলেন চালক। সূত্রের খবর, যাত্রীবাহী ট্রেনটি যখন গাতোরা স্টেশন ছেড়ে যায় তখন তার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭৬ কিলোমিটার। কিন্তু এরপর ট্রেনটিকে জোড়া হলুদ এবং একটি হলুদ সংকেত দেখানো হলেও ট্রেনটি একই গতিতে তা উপেক্ষা করে সিগন্যাল অতিক্রম করে যায়। এই দুই সংকেতের মাধ্যমে ট্রেনটির চালককে গতি কমানোর বার্তা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু চালক তা মানেননি বলে রিপোর্টে উঠে এসেছে। তদন্তকারীরা আরও নিশ্চিত করেছেন যে, সংঘর্ষের কিছুক্ষণ আগে ট্রেনটি একটি লাল বিপদ সংকেতও পেয়েছিল। কিন্তু তবুও থামেনি। তখন তার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার। এরপরেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা। একই লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মালগাড়ির সঙ্গে প্রবল জোরে সংঘর্ষ হয় যাত্রীবাহী ট্রেনটির। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার মাত্র এক মাস আগে লোকাল ট্রেন চালানোর জন্য পদোন্নতি হয় ওই লোকো পাইলটের।
Advertisement
পুলিশের তদন্তের সঙ্গে সমান্তরালভাবে চলছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের তদন্ত। দক্ষিণ-পূর্ব সার্কল-এর কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি-র নেতৃত্বে একটি ৫ সদস্যের দল দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই তদন্তকারী দল ৭ নভেম্বরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে, যাঁদের মধ্যে রেলের কর্মী এবং প্রত্যক্ষদর্শীরাও রয়েছেন।
Advertisement



