মারণ রোগে মৃত্যুতে এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে ভারত দ্বিতীয় স্থানে

Written by Piyali Hazra January 3, 2024 8:20 pm

দিল্লি, ৩ জানুয়ারি – ভারতে ক্যান্সার ভয়াবহ পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে। একটি সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে মৃত্যুতে এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে ভারত দ্বিতীয় স্থানে। ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। সমীক্ষাটি প্রকাশিত হয়েছে দ্য ল্যানসেট রিজিওনাল হেলথ সাউথইস্ট এশিয়া নামে একটি জার্নালে। তাতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে ভারতে প্রায় ১২ লাখ মানুষ কর্কট রোগে আক্রান্ত হন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৯.৩ লাখ ক্যান্সার আক্রান্তের। ওই বছর ক্যান্সার আক্রান্ত মৃত্যুর সংখ্যায় এশিয়ার মধ্যে ভারতের স্থান ছিল দ্বিতীয়।

২০১৯ সালে ভারত ছাড়াও চিন এবং জাপানে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পেয়েছিল বলে রিপোর্টে প্রকাশ। ওই বছর তিন দেশে মারণ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল মোট ৯৪ লাখ। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছিল ৫৬ লাখ ক্যান্সার আক্রান্তের।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যায় এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে চিন। ওই দেশে ৪৮ লাখ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। মৃত্যু হয়েছিল ২৭ লাখ মানুষের। সেই তুলনায় জাপানে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল অনেক কম। ৯ লাখ মানুষ আক্রান্ত হলেও, ৪.৪ লাখের মৃ্ত্যুর খবর রেকর্ড করা হয়।

দ্য ল্যানসেট রিজিওনাল হেলথ সাউথইস্ট এশিয়া নামে জার্নালের রিপোর্টে বলা হয়েছে যে ক্যান্সারের জীবাণু সবেচেয়ে বেশি সংক্রমিত হয়েছিল শ্বাসনালী এবং ফুসফুসে। এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হন প্রায় ১৩ লাখ মানুষ। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছিল ১২ লাখ মানুষের। পুরুষদের মধ্যেই শ্বাসনালী এবং ফুসফুসে ক্যান্সারের লক্ষণ বেশি রেকর্ড করা হয়। মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জরায়ুতে ক্যান্সার ধরা পড়ে।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বিশ্বে ধূমপান এবং অ্যালকোহল সেবনের প্রবণতা বাড়ছে। ফলে এই মারণ রোগের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে।   সেই সঙ্গে দূষিত বায়ুও ক্যান্সার বৃদ্ধির কারণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই ক্যান্সার বৃদ্ধির প্রবণতা এশিয়ার দেশগুলি মধ্যে বেশি বলে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল পাকিস্তানের মতো দেশে গুটকা, পান, খইনি খাওয়ার প্রচলন বেশি। এ সব থেকে মুখের ক্যান্সার বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ভারতে ক্যান্সার বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে ২৮ শতাংশ ক্ষেত্রে দায়ী গুটকা জাতীয় খাবার।