• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

১০০ দিনের কাজে কর্মীদের সুবিধা নিশ্চিত করতে ই-কেয়াইসি ব্যবস্থায় জোর দিল কেন্দ্র

এই স্বচ্ছ ব্যবস্থা গ্রামীণ পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়নকে আরও সহজ করে দেবে এবং কোনও প্রকৃত শ্রমিক যেন কাজ পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হন, তা নিশ্চিত করবে। 

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

১০০ দিনের কাজের কর্মীদের কাজের সুবিধা নিশ্চিত করতে ই-কেয়াইসি ব্যবস্থায় জোর দিল কেন্দ্র। গ্রামাঞ্চলের শ্রমিকদের স্বচ্ছ ও নিখুঁতভাবে পরিচয় যাচাই করে কর্মসংস্থানের অধিকার নিশ্চিত করতে এবার আরও বিস্তৃত হচ্ছে ই-কেয়াইসি ব্যবস্থা। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক জানিয়েছে, মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান গ্যারান্টি আইন (এমজিএনআরইজিএ)–এর সুবিধা যাতে প্রত্যেকে পান এবং কেউ অধিকার থেকে যাতে বঞ্চিত না হন, সে দিকেই নজর দিচ্ছে সরকার।

মন্ত্রকের দাবি, বর্তমানে সক্রিয় এমজিএনআরইজিএ শ্রমিকদের মধ্যে ৯৯.৬৭ শতাংশের আধার নম্বর কর্মসংস্থান নথির সঙ্গে যুক্ত হয়ে গিয়েছে। প্রায় ২ কোটি ৬০ লক্ষেরও বেশি নিবন্ধিত শ্রমিক ও দেশের ২ লক্ষ ৬৯ হাজার গ্রাম পঞ্চায়েতে বিস্তৃত এই প্রকল্প দীর্ঘদিন ধরেই স্বচ্ছতা নিয়ে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সেই কারণেই ‘জব কার্ড’ যাচাই এবং নবীকরণ প্রক্রিয়াকে আরও সহজ করতে ই-কেয়াইসি ব্যবস্থাকে বাধ্যতামূলক করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে।

Advertisement

মন্ত্রক জানিয়েছে, ‘জব কার্ড’ যাচাই একটি চলমান প্রক্রিয়া হলেও, তা পাঁচ বছর অন্তর নবীকরণ আবশ্যক। সেই প্রক্রিয়ায় দ্রুত গতি আনতেই এনএমএমএস (ন্যাশনাল মোবাইল মনিটরিং সিস্টেম) অ্যাপের ই-কেয়াইসি সুবিধা ব্যবহার করা হবে। স্থানীয় গ্রাম রোজগার সহায়ক বা কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা কর্মী অ্যাপের মাধ্যমে শ্রমিকের ছবি তুলে তা আধার তথ্যের সঙ্গে মিলিয়ে নেন। পুরো প্রক্রিয়া এক মিনিটেরও কম সময়ে শেষ হয়।

Advertisement

মন্ত্রকের বক্তব্য, এই স্বচ্ছ ব্যবস্থা গ্রামীণ পর্যায়ে প্রকল্প বাস্তবায়নকে আরও সহজ করে দেবে এবং কোনও প্রকৃত শ্রমিক যেন কাজ পাওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হন, তা নিশ্চিত করবে।

এছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ‘জব কার্ড’ মুছে ফেলা (ডিলিশন) সংক্রান্ত একটি নির্ণায়ক ব্যবস্থা (এসওপি) প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। সেখানে শ্রমিকদের স্বার্থ সুরক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে রাজ্যগুলির জন্য নির্দিষ্ট ও একইরকম নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।

গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক বলেছে, সরকারের মূল লক্ষ্য প্রকৃত শ্রমিকদের ন্যায্য রোজগার সুনিশ্চিত করা এবং প্রকল্পের স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বজায় রাখা।

Advertisement