শুক্রবার সকাল থেকেই উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে রাজস্থান, পাঞ্জাব, কাশ্মীর, চণ্ডীগড়, হরিয়ানা, দিল্লি, হিমাচল প্রদেশে। এদিন সকালেও পাঞ্জাবের অমৃতসর, পাতিয়ালা, এবং চণ্ডীগড়ে শোনা গিয়েছে সাইরেন। সীমান্তবর্তী এলাকায় বসবাসকারীদের বাড়ির বারান্দা বা ছাদে দাঁড়াতেও নিষেধ করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, সাইরেল না বাজলেও সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে। আম্বালা, চণ্ডীগড় এবং পাতিয়ালায় সব স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শহরগুলিতেও বাড়ানো হয়েছে নিরাপত্তা। স্বর্ণমন্দিরে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে।
সতর্কতা জারি করা হয়েছে রাজধানী দিল্লিতেও। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সৌধগুলিকে নিশানা করতে পারে পাকিস্তান। তাই অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দিল্লি এবং আগ্রায়। লালকেল্লা, কুতুব মিনারের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে আগ্রায় তাজমহলের।
ভারত-পাক হামলার জেরে গুজরাতের কচ্ছ এবং বনাসকাঁথা সীমান্তবর্তী জেলার বেশ কয়েকটি জায়গায় বৃহস্পতিবার রাতে ৭ ঘণ ্টারও বেশি সময় ধরে সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউট করে দেওয়া হয়। কচ্ছ হলো গুজরাটের সর্বপশ্চিম জেলা, আর বনাসকাঁথা হলো উত্তর-পূর্বের একটি জেলা। বনাসকাঁথা হল সীমান্ত এলাকা, যা রাজস্থান ও পাকিস্তানের লাগোয়া। ফলে পাকিস্তানের যে কোনও রকম আক্রমণ ঠেকাতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ভুজ, নালিয়া, নখাতরানা, এবং গান্ধীধাম-সহ কচ্ছের বেশ কয়েকটি জায়গা ব্ল্যাকআউটের আওতায় রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা নাগাদ বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। শুক্রবার ভোর ৬টা নাগাদ এলাকাগুলিতে বিদ্যুত সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়া হয়। একইভাবে বনাসকাঁথার সুইগামের আশেপাশে ২০টি গ্রামে প্রশাসনের তরফে বিদ্যুত বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
নিরাপত্তায় মুড়ে দেওয়া হয়েছে জম্মু ও শ্রীনগরকে। শুক্রবার সকাল থেকেই সেখানে শুরু হয় নাকা চেকিং। রাস্তাঘাট ফাঁকা। তবে এদিন সকাল থেকে সাইরেনের শব্দ শোনা যায়নি । তবে বৃহস্পতিবার রাতের পাক বাহিনীর তরফে ছোড়া গুলি এবং ড্রোনের হামলায় কিছু বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার উত্তর কাশ্মীরের বারামুলার উরিতে একটি গাড়ির উপরে গোলা এসে আছড়ে পড়ে। রাজারওয়ানি থেকে বারামুলা যাচ্ছিল গাড়িটি। সেই সময়ই মহুরার কাছে ওই ঘটনা ঘটে। রাজারওয়ানির বাসিন্দা বসির খানের স্ত্রী নার্গিস বেগমের মৃত্যু হয়। হাফিজা নামের আরেক মহিলা জখম হন। জম্মু ও কাশ্মীরের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলির পরিস্থিতিও সঙ্গীন। বহু ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে এলাকার মানুষ।