হিন্দুরা খ্রীস্টমাস পালনে চার্চে গেলে পেটানাে হবে : বজরঙ্গ দল নেতা

চলতি বছর খ্রীস্টমাস পালনে হিন্দুরা চার্চে গেলে তাদের ধরক পেটানাে হবে- ঠিক এভাবেই হুঁশিয়ারি দিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিতু নাথ।

Written by SNS Guwahati | December 10, 2020 3:26 am

বজরঙ্গ দল (Photo: IANS)

চলতি বছর খ্রীস্টমাস পালনে হিন্দুরা চার্চে গেলে তাদের ধরক পেটানাে হবে- ঠিক এভাবেই হুঁশিয়ারি দিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মিতু নাথ। তারপরই সভায় উপস্থিত সকলে ‘জয় শ্রী রাম’ বলতে শুরু করেন। চাচর জেলার শিলচরে এক অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে অভিযােগ করেন, খ্রীষ্টধর্মাবলম্বী অধুষিত শিলংয়ে বিবেকানন্দ সেন্টার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রামকৃষ্ণ মিশনের অংশ প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়ায় আমি ক্ষুব্ধ। চলতি বছর খ্রীষ্টমাসের উৎসবে হিন্দুদের অংশ গ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে না।

তাঁর বক্তব্য সােশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তিনি বলেন, ‘খাসি ছাত্র ইউনিয়ন ওই মন্দিরের গেট বন্ধ করে দিয়েছে। কিন্তু মেঘালয় সরকারের শীর্ষ আধিকারিকরা তা অস্বীকার করেছেন। ওঁরা আমাদের পুজোর স্থান বন্ধ করে দিয়েছে– অপমান করেছে। এরপরও হিন্দুরা যদি খ্রীষ্টমাসের উৎসব পালন তে চার্চে যান তাদের পেটানাে হবে। আমি তাদেরকে গালাগালও দেব কোনও হিন্দু এই বছর গ্রীস্টমাসে চার্চে যাবেন না। আমরা নিশ্চিত করব যাতে কোনও হিন্দু চার্চে খ্রীষ্টমাস পালনে চার্চে না যেতে পারে’।

তিনি বলেন, আমরা যদি এগুলাে করি, তাহলে পরের দিনে সংবাদপত্রে শিরােনাম কি হবে আমি জানি। গুণ্ডা দল ওরিয়েন্টাল স্কুল ভেঙে দিয়েছে। কিন্তু এটা আমাদের প্রাধান্য নয়। আমরা কোনও হিন্দুকে খ্রীস্টমাসে প্রােগ্রামে যেতে দেব না। ওরা শিলংয়ে আমাদের মন্দিরের গেট বন্ধ করে দিয়েছে’।

মেঘালয় প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, “ডিস্ট্রিক্ট হলিডে’র কারণে সাংস্কৃতিক কেন্দ্রটি বন্ধ রাখা হয়েছে। বিবেকানন্দ সেন্টারে ছাত্রদের অ্যাডভান্সড কম্পিউটার কোর্সের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। স্থায়ীভাবে তালা ঝােলানাে হয়নি। রামকৃষ্ণ মিশনের কোনও মন্দিরের গেট বন্ধ করা হয়নি’।

শিলচরের সভায় তিনি লাভ জিহাদের বিরােধিতায় সরব হন। তিনি বলেন, লাভ জিহাদের নামে যা ঘটছে, তা নিন্দনীয়। আমরা হিন্দু মা বােনেদের সম্মান রক্ষা করতে ও সুরক্ষিত রাখতে সক্ষম। আমাদেরকে গুন্ডা দল বলে অনেকে সমালােচনা করে। মা বােনেদের রক্ষা করতে গিয়ে এমন সমালােচনা শুনতে হলে কোনও ব্যাপার নয়। গেরুয়া পোশাকে সজ্জিত সমর্থকদের তিনি কড়া নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘আমাদের মা বােনেদের সম্মান রক্ষা করতে হবে – এটা সকলে যেন মেনে নিই। লাভ জিহাদ দমন করতে যা যা করা প্রয়ােজন, তা করতে হবে। কিন্তু আইনের গন্ডির মধ্যে থেকে করতে হবে।’

অসমের মন্ত্ৰী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, সম্প্রতি কয়েক সপ্তাহ ধরে জিপি শাসিত রাজ্যগুলােতে লাভ জিহাদের নামে হিন্দু মেয়েদের বিয়ে করে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে’।