সুস্থ রুচির সুস্থ ছবি — “হারায়ে খুঁজি তারে”

Written by SNS March 5, 2024 4:56 pm

নিশীথ সিংহ রায়

দি ইনোভেশন ( এ হাউস অফ এন্টারটেনমেন্ট) এর প্রযোজনায় নির্মিত প্রথম ছায়াছবি ‘হারায়ে খুঁজি তারে’ যেখানে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শেষ জীবনের জমাটি অভিনয় দেখা যাবে তা মুক্তি পাবে আগামী শুক্রবার ৮ই মার্চ নিউটাউনের “নজরুল তীর্থে” (Screen -3)। ছায়াছবিটির মূল কাহিনী ও নির্দেশনার দায়িত্বে আছেন সমর কুমার রায়। চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন লোপামুদ্রা ভট্টাচার্য। ছায়াছবিটিতে দুটি রবীন্দ্রসঙ্গীত এবং একটি লোকসঙ্গীতের ব্যবহার করা হয়েছে।

পাশাপাশি দুটি আধুনিক গানও ব্যবহার করা হয়েছে। যেগুলিতে সুর দিয়েছেন সজল কুমার মুখার্জি। ছবিটির নেপথ্যকণ্ঠ শিল্পীরা হলেন বিনোদ রাঠোর, রাঘব চট্টোপাধ্যায়, ডঃ দেবলীনা সিংহ রায়, লোপামুদ্রা ভট্টাচার্য, চন্দ্রনিভ মুখোপাধ্যায় ও সোমা চক্রবর্তী। চিত্রগ্রাহকের ভূমিকা পালন করেছেন অসীম ঘোষ ও তন্ময় দাস, সম্পাদনায় অভিজিত পোদ্দার। আবহ রচনা করেছেন ইন্দ্রনীল রায়, সহযোগী পরিচালক হিসাবে কাজ করেছেন স্বপন নন্দী। গল্পের মূল কাহিনী প্রেম এবং বিচ্ছেদ ঘটিত হলেও মানসিক এবং সামাজিক মোড়কে আগাগোড়া মোড়া গল্পটি এরকম দুই বন্ধু নীলাভ্র (চন্দ্রনিভ মুখোপাধ্যায়) ও আবীর (সপ্তর্ষি রায়) একটি গ্রুপ থিয়েটার দলের নিয়মিত অভিনেতা। নতুন প্রযোজনার জন্য নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করতে এসে তাদের সাথে যোগ দেয় আবীরের বাল্যবন্ধু শ্রীপর্ণা (দেবলীনা কুমার)।

শহরের বাইরে কল শো করতে গিয়ে নীলাভ্র ও শ্রীপর্ণার মধ্যে একটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে ও তারা ঘনিষ্ঠ হয়। শহরে ফিরে আসার পর বাবা-মায়ের জেদাজাদীতে নীলাভ্রকে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে চলে যেতে হয়। ইতিমধ্যে শ্রীপর্ণা বুঝতে পারে ক্ষণিকের ভুলে সে নীলাভ্রর সন্তানের মা হতে চলেছে। সে তার বন্ধু আবীরকে বিষয়টি জানালে আবীর শ্রীপর্ণাকে নিয়ে নীলাভ্রর বাবা-মায়ের কাছে যায়, কিন্তু নীলাভ্রর বাবা (বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী) ও মা (সান্ত্বনা বোস) তাদেরকে অপমান করে তাড়িয়ে দেয়। আবীর বান্ধবীর এই বিপদে দাঁড়াতে চেয়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। শ্রীপর্ণা এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এবং কাউকে না বলে মাকে নিয়ে শহর ছেড়ে চলে যায়। বান্ধবী নিরুদ্দেশের খবর পেয়ে আবীর যখন ভেঙ্গে পড়ে তখন তার পাশে মানসিকভাবে এসে দাঁড়ায় আবীরের দাদু ব্যারিস্টার আনন্দমোহন বসু (সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়)।

দীর্ঘ ৭ বছর পরে সমুদ্রতটে এক ভ্রমনস্থানে আকস্মিকভাবে শ্রীপর্ণার সাথে নীলাভ্রর দেখা হয়ে যায়। পুরানো প্রেমিকাকে নীলাভ্র কাছে ফিরে পেতে চাইলেও সে কি ফিরে পাবে শ্রীপর্ণাকে? অন্যদিকে নিরুদিষ্ট বান্ধবীর খোঁজে বেরিয়ে পরা আবীর কি শেষ পর্যন্ত দেখা পাবে শ্রীপর্ণার? আত্মনির্ভর ব্যক্তিত্বময়ী শ্রীপর্না কি ফিরে যেতে চাইবে তার পুরানো সম্পর্কের বাঁধনে? ঘটনার ঘনঘটা এবং সম্পর্কের ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে দিয়ে জমাট বুনোটে বাঁধা গল্প দর্শকমনকে গভীরভাবে নাড়া দিয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।