এপ্রিল থেকে জুনে বাজারে আসছে প্রথম ভারতীয় টিকা

প্রতিকি ছবি (File Photo: iStock)

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাই ডি প্রসাদ জানিয়েছেন, আইসিএমআর-এর সহযােগিতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ২৫ টি কেন্দ্রে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে টিকা দেওয়া হয়েছে ২৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবককে।

২৮ দিনের ব্যবধানে তাঁদের ফের টিকা দেওয়া হবে। দেশীয় প্রযুক্তিতে বানানাে কোভিড টিকাগুলির মধ্যে এটাই বৃহত্তম ট্রায়াল। টিকা কতটা নিরাপদ, তা জানা যাবে আগামী দু-তিন মাসের মধ্যেই, তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের ফলাফল প্রকাশিত হলে। 

প্রসাদ আরও বলেছেন, ‘শ্বসনতন্ত্রের নিরাপত্তায় কোনও টিকা ৫০ শতাংশ কার্যকরী হলেই তাকে অনুমােদন দেয় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আমেরিকার ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এবং ভারতের সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন’-ও সংশ্লিষ্ট টিকার অনুমােদনের ক্ষেত্রে একই নিয়ম মেনে চলে। প্রথম দু’টি পর্যায়ের ট্রায়ালের ফলাফলের ভিত্তিতে আমাদের আশা, কোভ্যাক্সিন তার চেয়েও বেশি কার্যকরী হবে। অন্তত ৬০ শতাংশ। তার বেশিও হতে পারে।’


ভারত বায়ােটেক-এর কর্তা এও জানিয়েছেন, কোভ্যাক্সিন কতটা কার্যকরী ও নিরাপদ, তা নিয়ে আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের ফলাফল জানানাে হবে।

সিডিএসসিও-কে তখনই টিকা বাজারে আনার অনুমতি চাওয়া হবে। সেই অনুমতি মিললে আমরা আশা করছি, আগামী বছর এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যেই কোভ্যাক্সিন ভারতের বাজারে এসে যাবে।