সংস্কারে কৃষকরাই লাভবান হচ্ছেন: মােদি

কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কার থেকে শুরু করে বিদেশি বিনিয়ােগ সমস্ত বিষয় নিয়ে দেশের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অ্যাসােচেমের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি।

Written by SNS New Delhi | December 20, 2020 1:23 pm

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (File Photo: IANS)

কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কার থেকে শুরু করে বিদেশি বিনিয়ােগ সমস্ত বিষয় নিয়ে দেশের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অ্যাসােচেমের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি । তিনি বলেন, কৃষি ক্ষেত্রের সংস্কার কৃষকদের জীবনের মানােন্নয়নে সহায়তা করবে।

গত ছ’মাসে কৃষি ক্ষেত্রের সংস্কারে কৃষা লাভের মুখ দেখছেন। সমগ্র পৃথিবী যখন করােনা আবহের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল, তখন ভারতের ওপর বিশ্বের দেশগুলাের যে আস্থা রয়েছে তা ভারতে বিনিয়ােগের পরিমাণ দেখে প্রমাণ হয়ে যায় পুরােটাই সম্ভব হয়েছে সংস্কার সাধনের ফলে। একটা সময় ছিল যখন ভারতে কেন বিনিয়ােগ করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন করতেন বিদেশের বিনিয়ােগকারীরা। এখন ভারতে কেন বিনিয়ােগ করা হবে না তা নিয়ে চিন্তাভা করছে’।

প্রধানমন্ত্রী মােদি বলেন, ভারতে বিনিয়ােগের ক্ষেত্রে কিভাবে মানুষের চিন্তাভাবনার পরিবর্তন ঘটেছে তা উল্লেখ্য। আমার সরকার কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কারের লক্ষ্যে ছ’মাস আগে থেকে যে যে সংস্কার করেছে, তা কৃষকদের লাভের মুখ দেখাতে শুরু করেছে। উৎপাদন ক্ষেত্র থেকে শুরু করে দেশের ব্যবস্থা, শ্রমিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সংস্কার করা হচ্ছে যা ভারতে বিনিয়ােগ করার জন্য বিশ্বের মানুষের চিন্তাভাবনার পরিবর্তন ঘটিয়েছে। 

কৃষক আন্দোলন ২৪ তম দিনে পড়ল- রাজধানীর সীমান্তে আন্দোলন জোরদার হচ্ছে। তিনি টুইট করে লিখে দেশের মানুষদের সরকারি ই-বুকলেট পড়তে ও শেয়ার করার আবেদন জানান। ওই বুকলেটে কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কার কিভাবে দেশের কৃষকদের সাহায্য করেছে তার ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। তিনি ইবুকলেটের হিন্দি ভাষায় লেখা কয়েকটি পাতা টুইট করে শেয়ার করেন।

গতকাল মােদি প্রশাসনের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে নতুন কৃষি আইন প্রত্যাহারের কোনও প্রশ্নই ওঠে না, কেননা দেশের কৃষকদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই নতুন তিনটি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। কৃষক আন্দোলনে কোনও বিরতি নেই, আন্দোলনকে জোরদার করার লক্ষ্যে কৃষক ইউনিয়নগুলাে একটার পর একটা পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।

এদিকে, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মধ্যপ্রদেশের কৃষকদের আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, ‘আপনাদের কোনও ধরনের যদি উদ্বেগ থাকে, আমি নতমস্তক হয়ে বিনম্র ভাবে হাতজোড় করে বলছি, আপনাদের ভয় ও উদ্বেগ নিরসন করব। সবকটি ধারা নিয়ে বিস্তারিত আলােচনা করতে প্রস্তুত’। 

কৃষি আইনের পক্ষে সমর্থন প্রদর্শন করে আন্দোলনরত কৃষকদের উদ্দেশ্য তিনি হাত জোড় করে বলেন, ‘দু’দশক ধরে ভারতের কৃষি ক্ষেত্রে সংস্কারের প্রয়ােজনীয়তা নিয়ে শুধু আলােচনা হয়েছে। কাজ হয়নি। কৃষকদের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য দেওয়া হবে না বলে চারপাশে যে ধরনের কথা বার্তা চলছে তা সবথেকে বড় মিথ্যে। কিন্তু আন্দোলনরত কৃষকদের সমস্ত উদ্বেগের কারণ নিয়ে কেন্দ্র আলােচনা করতে প্রস্তুত।

তাঁর কথায়, ‘দলগুলি এখন কষ্ট পাচ্ছে। তারা নিজেরাই নিজেদের জিজ্ঞাসা করছে আমরা যেটা করতে পারিনি, মােদি কিভাবে করল। মােদি কেন ক্রেডিট পাবে? আমি তাদেরকে বলব– আপনারা ক্রেডিট নিন। আমি নিজে কোনও ক্রেডিট চাই না। আমি চাই দেশের কৃষকদের জীবনের মানােন্নয়ন ঘটুক। দয়া করে, দেশের কৃষকদের বিপথে চালিত করবেন না।