• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

পুনে কাণ্ড: মেডিক্যাল রিপোর্টেও ধর্ষণের প্রমাণ নেই, হুমকিবার্তাও ভুয়ো

পুনের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, তদন্তে উঠে এসেছে তরুণীর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুয়ো এবং সাজানো।

পুনেতে এক তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীর দায়ের করা ধর্ষণের অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ানোর এক সপ্তাহের মধ্যেই উলটপুরাণ। পুনের পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার রবিবার সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, তদন্তে উঠে এসেছে তরুণীর অভিযোগ সম্পূর্ণ ভুয়ো এবং সাজানো। এমনকি, মেডিক্যাল রিপোর্টেও ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি। ২২ বছর বয়সি ওই তরুণী গত বুধবার অভিযোগ করেন, এক অজ্ঞাত কুরিয়ারের ডেলিভারি এজেন্ট সেজে এক ব্যক্তি তাঁর ফ্ল্যাটে জোর করে প্রবেশ করে, চোখে পিপার স্প্রে ছিটিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে এবং পরে তাঁর মোবাইল ফোনে একটি সেলফি তুলে বার্তা লেখেন, ‘আবার ফিরে আসব’।

তবে পুলিশ কমিশনার জানান, ঘটনাটি আদতে সম্পূর্ণ সাজানো। তদন্তে জানা যায়, যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আসলে তরুণীর পূর্বপরিচিত এবং তাঁরই ডাকে সেই দিন ফ্ল্যাটে এসেছিলেন। তরুণীর সম্মতিতেই সেলফি তোলা হয়েছিল এবং সেই ছবিতে হুমকির বার্তা যুক্ত করেন স্বয়ং তরুণী। পুলিশ জানায়, তরুণীর একাধিক বয়ানে মারাত্মক অসঙ্গতি রয়েছে এবং তদন্ত চলাকালীন বারবার তিনি বক্তব্য পরিবর্তন করেছেন। এমনকি, জোর করে ফ্ল্যাটে ঢোকা এবং পিপার স্প্রে ব্যবহারের ঘটনাও ভুয়ো বলে প্রমাণিত হয়েছে।

Advertisement

পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তরুণী ও তাঁর বন্ধুকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা হয়েছে এবং তাঁদের বক্তব্যে মিল পাওয়া যায়নি। ডেপুটি পুলিশ কমিশনার রাজকুমার শিন্দে জানান, তরুণীর মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্টেও ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি। তরুণী বর্তমানে পুনের কল্যাণী নগরের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কর্মরত। তিনি মহারাষ্ট্রের অকোলার বাসিন্দা। পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে, মানসিক চাপ বা অসুস্থতার কারণেই তরুণী এমন কাজ করেছেন। তাঁকে কাউন্সেলিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং এই ঘটনার নেপথ্যে থাকা মনস্তাত্ত্বিক কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ কমিশনারের বক্তব্য, ‘এ ধরনের ভুয়ো অভিযোগ শুধু পুলিশি তদন্তের সময় ও সম্পদের অপচয় নয়, বরং প্রকৃত নির্যাতিতাদের প্রতি অন্যায়। এমন ঘটনার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।’ ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। ভুয়ো অভিযোগ এনে আইনের অপব্যবহার করায় তরুণীর বিরুদ্ধে কী ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা শুরু হয়েছে প্রশাসনের অন্দরে।

Advertisement