• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

বিমায় প্রিমিয়াম বাড়ানো চলবে না, মন্ত্রিগোষ্ঠীকে বাংলার প্রস্তাব

কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, বিমা ও স্বাস্থ্যবিমা থেকে জিএসটি প্রত্যাহার হলে বছরে প্রায় ৯ হাজার ৭০০ কোটি টাকার রাজস্ব কমতে পারে।

প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র

জীবনবিমা ও স্বাস্থ্যবিমায় থেকে জিএসটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হলেও বিমা সংস্থাগুলি যেন প্রিমিয়াম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের উপর নতুন করে চাপ সৃষ্টি করা না হয়, সেই বিষয়ে কড়া বার্তা দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে জিএসটি কাউন্সিলের গঠিত মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে এই দাবি জানান রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বর্তমানে বিমার প্রিমিয়ামে ১৮ শতাংশ জিএসটি ধার্য করা রয়েছে, যা ইতিমধ্যেই প্রত্যাহারের প্রস্তাব দিয়েছে কেন্দ্র।

এ ব্যাপারে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘জিএসটি তুলে দেওয়ার পরে বিমা সংস্থাগুলি যদি প্রিমিয়াম বাড়িয়ে একই পরিমাণ টাকা আদায় করে, তাহলে সাধারণ মানুষ কোনও স্বস্তি পাবেন না। তাই কেন্দ্রকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে এই সুযোগে গ্রাহকদের ঠকানো না হয়।’

Advertisement

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহু আগে থেকেই বিমায় জিএসটি প্রত্যাহারের দাবি তুলে আসছিলেন। গত বছর কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে এ ব্যাপারে তিনি চিঠিও দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে চন্দ্রিমা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সেই দাবিটিকে ফের স্মরণ করিয়ে দিলেন।

Advertisement

এই বৈঠকে বাংলার পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, কর্নাটক এবং কেরলের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের শেষে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী জানান, ১২ ও ২৮ শতাংশ কর স্ল্যাব বাতিলের প্রস্তাবেও গোমের সদস্যরা সমর্থন জানিয়েছেন।

বিরোধী শিবির এই সিদ্ধান্তকে ভোটমুখী পদক্ষেপ বলে কটাক্ষ করেছে। আবার তৃণমূল সাংসদ দোলা সেন বলেন, ‘এটি মানুষের চাপেই সরকারের বাধ্যতামূলক সিদ্ধান্ত। অনেক দেরিতে হলেও কেন্দ্র বুঝেছে যে, জনস্বার্থ অগ্রাহ্য করা যাবে না।’

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও স্বাধীনতা দিবসে জিএসটি সংস্কারের আভাস দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এই সংস্কার দেশের সাধারণ মানুষ, কৃষক, মধ্যবিত্ত এবং ক্ষুদ্র শিল্পক্ষেত্রের উপর থেকে করের বোঝা কমাবে এবং কর ব্যবস্থা হবে আরও স্বচ্ছ ও সরল।

কেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, বিমা ও স্বাস্থ্যবিমা থেকে জিএসটি প্রত্যাহার হলে বছরে প্রায় ৯ হাজার ৭০০ কোটি টাকার রাজস্ব কমতে পারে। তবুও সার্বিক জনহিতের কথা ভেবে বেশিরভাগ রাজ্যই এই প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে। কারণ এর ফলে সাধারণ মানুষের আর্থিক স্বস্তি মিলবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement