ডিমের সাদা বা হলুদ অংশের থেকেও গুনে বেশি দামি তার খোসা। তাই পারলে সংরক্ষণ করুন। আমি না বলছেন বেশিরভাগ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাই। বেশি ভেতরের অংশ রেখে ডিমের খোসা ফেলে দেওয়াটাই স্বাভাবিক। কারণ আমাদের কাছে এটা একটি অবশ্য বর্জনীয় জিনিস। কেউ কোনো উদ্দেশ্যে এগুলো সংরক্ষণ করেন বলে মনে হয় না। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি এরকম করাটা একদমই ভুল! কারণ ডিমের সাদা ও হলদে অংশের মতো এটিরও রয়েছে নানাবিধ ব্যবহার। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিমের খোসার বহুবিধ ওষুধি গুণাগুণ রয়েছে।
বিজ্ঞানীদের মত, ডিমের খোসা হচ্ছে ক্যালসিয়ামের পরিপূরক। এটি শরীরের জন্য উপকারি আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, ফসফরাস, জিঙ্ক, ফ্লুরিন, কপার ও ক্রোনিয়ামের বিশাল উৎস। নিচে ডিমের খোসার উপকারি দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো :
Advertisement
রক্ত পরিশুদ্ধ করে : শরীরের দূষিত রক্ত পরিশুদ্ধ করতে ডিমের খোসার কোনো বিকল্প নেই। এটি শরীরের শক্তিও বৃদ্ধি করে। কিন্তু কিভাবে ডিমের খোসাটিকে খাওয়া যায় তা নিয়ে অবশ্যই মাথাব্যথা শুরু হয়ে গেছে। যেভাবে এটি তৈরি করতে হবে :৫টি ডিমের খোসা ধুয়ে পরিষ্কার করুন। তারপর সেগুলো ছোট-ছোট টুকরায় পরিণত করুন এবং ২-৫ লিটার জলে রাখুন। দিন ধরে ওই মিশ্রণ ফ্রিজে রাখুন।
Advertisement
এরপর তরল অংশটুকু আলাদা করে একটি পরিষ্কার পাত্রে রাখুন। প্রতিদিন ২ গ্লাস করে খান।
দাঁতের সুরক্ষায়: দাঁতের নানা ধরনের সমস্যা সমাধানে এক কার্যকরী উপাদান ডিমের খোসা। দাঁতের সুরক্ষায় যেভাবে ডিমের খোসা ব্যবহার করবেন :
১২টি ডিমের খোসা চূর্ণ করুন।
এতে নারকেল তেল (পরিমাপ মতো) ও বেকিং সোডা মেশান।
তা একটি ছোট মগে জমা করুন। এরপর প্রতিদিন সকালে মাজন হিসেবে ব্যবহার করুন।
এটি নিয়মিত ব্যবহারে দাঁত হবে যেমন ঝকঝকে ও তকতকে, তেমনি ক্ষয় প্রতিরোধসহ নানা ধরনের রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
থাইরয়েড গ্রন্থির স্বাস্থ্যে : সাধারণত থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে নিসৃত হরমোনের অভাবে মানুষ খাটো হয়, মানসিক সমস্যায় ভোগে।এরকম আরো সমস্যার সমাধানে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে ডিমের খোসা। এক কথায় থাইরয়েড গ্রন্থির স্বাভাবিক কাজ সচল রাখে ডিমের খোসা। যেভাবে এটি ব্যবহার করতে হবে :
১০টি ডিমের খোসা গরম জল দিয়ে পরিষ্কার করুন এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র টকরায় পরিণত করুন।
এতে ৫০ মিলিলিটার সতেজ লেবুর রস মেশান এবং তা ৪ দিন ধরে ফ্রিজে রাখুন।
এরপর খোসা নরম হলে তা থেকে তরল অংশটুকু আলাদা করুন এবং এতে ১ কেজি মধু ও ১ লিটার প্রক্রিয়াজাত করা ফলের রস মেশান।
৪. এই মিশ্রণ আবার ফ্রিজে রাখুন। তারপর প্রতিদিন খাবারের পরে দুই থেকে চারবার তিন চা চামচ করে খান।
Advertisement



