• facebook
  • twitter
Tuesday, 12 August, 2025

এপিক নম্বরে মিল মানেই ভুয়ো ভোটার নয় : কমিশন

একই এপিক নম্বরে একাধিক ভোটারের নাম থাকতেই পারে, এর মানে এই নয় যে তাঁরা ভুয়ো ভোটার। এপিক নম্বর নিয়ে বিতর্কের মাঝেই জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন।

ফাইল ছবি

একই এপিক নম্বরে একাধিক ভোটারের নাম থাকতেই পারে, এর মানে এই নয় যে তাঁরা ভুয়ো ভোটার। এপিক নম্বর নিয়ে বিতর্কের মাঝেই জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুলেছিলেন, রাজ্যের বিভিন্ন জেলার ভোটারদের এপিক নম্বরে ভিন রাজ্যের ভোটারও রয়েছে। এই অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ব্যাখ্যা, এপিক নম্বর এক থাকা মানেই ভুয়ো ভোটার নয়।

এক্ষেত্রে ভোটকেন্দ্র, বিধানসভা কেন্দ্রের নাম, ভোটারের পরিচয় ইত্যাদির মাধ্যমে সেই সব ভোটারদের চিহ্নিত করা হয়। এপিক নম্বর নিয়ে বিতর্কের মাঝে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আধার নম্বরের মতো প্রত্যেক ভোটারের যাতে আলাদা আলাদা এপিক নম্বর থাকে সেই ব্যবস্থা করা হবে। একজনের নম্বর যাতে অন্য জনের সঙ্গে মিলে না যায় সেই কারণে এই উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এর ফলে যে কোনও ধরনের বিতর্ক এড়ানো সম্ভব হবে।

গত বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন, রাজ্যের ভোটার তালিকায় ভিনরাজ্যের ভোটারদের নাম ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বাংলার একাধিক ভোটারের একই এপিক কার্ডে হরিয়ানা, গুজরাতের মানুষের নাম তোলা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সাহায্য নিয়ে এই কাজ করেছে বিজেপি। মমতার এই অভিযোগের পরেই এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিল নির্বাচন কমিশন। তাঁরা জানিয়েছে, দুই বা তার বেশি ভোটারের একই এপিক নম্বর থাকতেই পারে।

ভুয়ো ভোটার খুঁজে বের করতে ১০ দিন সময় দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর জন্য রাজ্যস্তরের একটি কমিটিও গড়ে দিয়েছিলেন তিনি। পাশাপাশি জেলা স্তরেও কমিটি গড়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে শাসকদলের নেতাকর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভুয়ো ভোটার খোঁজার কাজ শুরু করেছে। তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভুয়ো ভোটারের হদিশও পাওয়া গিয়েছে। এই আবহে এপিক নম্বর বিতর্কে রাশ টানতে উদ্যোগ নিল নির্বাচন কমিশন।