শাস্তির মুখে মোদি-শাহ জুটি

রাজনৈতিক মহলের ধারণা,বিরােধীদের লাগাতার সমালােচনার কারণেই ঘুম ভেঙেছে কমিশনের।

Written by SNS New Delhi | April 25, 2019 4:09 am

মোদি এবং অমিত শাহ (Photo: RAVEENDRAN/AFP/Getty Images)

লােকসভা নির্বাচন চলাকালীন নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করার অপরাধে বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ নির্বাচন কমিশনের কোপের মুখে পড়েছেন।উস্কানিমূলক মন্তব্য করার জন্য নির্বাচন কমিশনের নােটিশ পেয়েছে বসপা নেত্রী মায়াবতী,সপা নেতা আজম খান,উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যােগী আদিত্যনাথ এবং বিজেপি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মেনকা গান্ধি।কিন্তু বিরােধীরা বারবার প্রশ্ন করছিল মােদি-অমিত শাহ জুটিকে কেন ছেড়ে দিচ্ছে কমিশন।এমনকি সুপ্রিম কোর্টও কমিশনের হাত গুটিয়ে থাকাকে কটাক্ষ করে বলেছিল নির্বাচন কমিশন কী ঘুমােচ্ছে!সব মিলিয়ে কোণঠাসা অবস্থা নির্বাচন কমিশনের।

এর আগেই দেশের সেনাবাহিনীকে নিয়ে প্রচার চালানাে যাবে না বলে নির্দেশিকা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন।কিন্তু সেই নির্দেশিকাকে অমান্য করে মােদি-অমিত শাহরা জনসভাগুলিতে প্রচারের হাতিয়ার করছে সেনাবাহিনীর আত্মত্যাগকে।এবার তাতেই লাগাম টানতে চলেছে নির্বাচন কমিশন।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী সশস্ত্র বাহিনীকে ভােটের প্রচারের ইস্যু করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন।রাজনৈতিক মহলের ধারণা,বিরােধীদের লাগাতার সমালােচনার কারণেই ঘুম ভেঙেছে কমিশনের।

পুলওয়ামা হামলার পর পাকিস্তানের বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিতে ভারতীয় বায়ুসেনার এয়ারস্ট্রাইককে লােকসভা নির্বাচনে প্রচারের হাতিয়ার করছে বিজেপি।এদিন কোনও দলের নাম না করে কমিশন জানিয়েছে,নির্বাচনী প্রচারে দেশের সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করা যাবে না।

এবার লােকসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রচারের প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে জাতীয় সুরক্ষা এবং জাতীয়তাবাদ। তৃতীয় দফা ভােটের পর এই ধরণের মন্তব্যের জন্য কমিশন শাস্তির বিধান জারি করতে চলেছে।মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে,প্রধানমন্ত্রীর পূর্বের বক্তব্য খতিয়ে দেখবে কমিশন।কমিশনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন,বিষয়টি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সূত্রের খবর,নির্বাচন বিধি ভাঙার জন্য খুব তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত আমরা অপেক্ষা করব।নির্বাচনী অফিসাররা বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করছে।

বিরােধীরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযােগ করেছিল যে,নরেন্দ্র মােদি সরকার সশস্ত্র বাহিনীর সাফল্য তুলে ধরে বিজেপির দেশাত্মবােধকে তুলে ধরতে চাইছে,সেই সঙ্গে বিরােধীদের দেশবিরােধী প্রমাণ করতে চাইছে। ভােটে সুবিধা পেতেই মােদি সরকার সেনাদের বলিদানকে হাতিয়ার করছে বলে অভিযােগ করে।