বিচারপতি কুরেশির নিযুক্তি কলেজিয়ামের অনুমোদন সত্বেও এখন কেন্দ্রের ‘বিবেচনা’য়

সােমবার কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি আকিল এ কুরেশির নিযুক্তির বিষয়টা তারা ‘বিবেচনা’ করে দেখছে।

Written by SNS New Delhi | July 23, 2019 2:28 pm

সুপ্রিম কোর্ট (Photo: File)

সােমবার কেন্দ্রীয় সরকার সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি আকিল এ কুরেশির নিযুক্তির বিষয়টা তারা ‘বিবেচনা’ করে দেখছে এবং বিচারপতি কুরেশির মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়ােগের বিষয়ে কেন্দ্র দু’সপ্তাহের মধ্যে তাদের মতামত জানাবে দেশের শীর্ষ আদালতকে।

গুজরাত হাইকোর্ট ‘অ্যাডভােকেট অ্যাসােসিয়েশন (জিএইচসিএএ) সুপ্রিম কোর্টে’ একটি আবেদন দাখিল করে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির পদে বিচারপতি কুরেশিকে কেন নিযুক্ত করা যাচ্ছে না- সেই প্রশ্ন তুলেছে, বিশেষ করে যখন বিচারপতি কুরেশির নাম সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির পদে অনুমােদন করেছে।

এই মামলার শুনানি চলছে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে।

জিএইচসিএএ’র তরফে বরিষ্ঠ আইনজীবী ফালি এস নরিম্যান এদিন বলেছেন কেন্দ্রীয় সরকার দু’সপ্তাহের সময় চেয়েছে তাতে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই কিন্তু মনে রাখতে হবে বিচারপতি নিয়ােগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের ভূমিকা শুধু একজন ‘বিশিষ্ট সঞ্চারক’-এর (ডিসটিংগুইশড কমিউনিকেটর) কারণ ‘মেমোর‍্যান্ডাম অব প্রসিডিওর’ বা এমওপি অনুযায়ী কেন্দ্রের ভূমিকা নির্দিষ্ট করা আছে এবং বিচার দফতর শুধু নিয়ােগের ঘােষণা করতে পারে মাত্র।

সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে কেন্দ্রের তরফে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানিয়েছেন, বিচারপতি কুরেশির মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে নিযুক্তির বিষয়ে সরকার বিবেচনা করছে।

বরিষ্ঠ আইনজীবী নরিম্যান পরিষ্কার জানিয়েছেন এমওপি অনুযায়ী বিচারপতি নিয়ােগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের বিশেষ কোনও ভূমিকা নেই যদি কলেজিয়াম ইতিমধ্যেই বিচারপতি হিসেবে কারাের নাম অনুমােদন করে পাঠায়।

গুজরাত হাইকোর্ট অ্যাসােসিয়েশনের বক্তব্য হল, কেন্দ্রীয় সরকার অন্যান্য হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কলেজিয়াম অনুমােদিত নামগুলি মেনে নিয়ে তাদের নিযুক্তির ফাইল ছেড়ে দিয়েছে অথচ কলেজিয়াম অনুমােদিত বিচারপতি কুরেশির ফাইল আটকে রাখা হয়েছে।

মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে কুরেশির নাম কলেজিয়াম অনুমােদন করেছিল গত ১০ মে। কলেজিয়ামের প্রস্তাবে বলা হয়েছিল বিচারপতি এ এ কুরেশি গুজরাত হাইকোর্টের সবচেয়ে বরিষ্ঠ বিচারপতি যিনি এখন ট্রান্সফারের ভিত্তিতে বম্বে হাইকোর্টে কর্মরত। তিনি মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে সবচেয়ে উপযুক্ত।

অ্যাসােসিয়েশন তাদের মামলায় বলেছে বিচারপতি কুরেশিকে নিযুক্ত করার ব্যাপারে কেন্দ্র যে গড়িমসি করছে তা এমওপি এবং সংবিধানের ১৪ নং ধারা ও ২১৭ ধারার পরিপন্থী। সুপ্রিম কোর্ট এই মামলার শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেছে ২ আগস্ট।

এদিকে খবরে প্রকাশ জিএইচসিএএ ‘ র প্রেসিডেন্ট যতীন ওঝা বলেছেন , বিচারপতি কুরেশিকে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে কলেজিয়ামের অনুমােদন সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকারের অনীহার মূল কারণ হল সােহরাবুদ্দিন মামলায় বিচারপতি কুরেশি ২০১০ সালে তার একটি রায়ে বর্তমান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহকে দ ’ দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছিলেন ।