খাবার সরবরাহে জিএসটি কমানাের দাবি

অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। (File Photo: IANS)

বাজেটের দিন যত এগিয়ে আসছে ততই সরকারের কাছে নিজেদের দাবিদাওয়া পেশ করছে একেকটি শিল্পমহল। বিশেষ করে বিভিন্ন পণ্যে করের বােঝা লাঘব করার দাবিতে সরব হচ্ছে শিল্প সংস্থাগুলি। সেই তালিকায় নবতম সংযােজন অ্যাপ নির্ভর খাবার সরবরাহ করার কোম্পানিগুলি।

র্তমানে ফুড ডেলিভারি পরিষেবা শহুরে জীবনের এক অভিন্ন অঙ্গে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে লকডাউনের সময় এই পরিষেবা বহু মানুষের ক্ষেক্ষে অত্যাবশ্যক হয়ে উঠেছিল। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতারামনের আসন্ন বাজেট ঘিরে এই ফুড ডেলিভারির ক্ষেত্রে প্রত্যাশা তুঙ্গে। এই ক্ষেত্রে করের বােঝা কমবে বলে তাদের প্রত্যাশা।

বর্তমানে রেস্তরাঁ থেকে খাবার আনালে খাবারের ওপর ১৮ শতাংশ হারে কর দিতে হয় ক্রেতাদের। অথচ সেই একই খাবার রেস্তরাঁয় বা দোকানে গিয়ে খেলে দামের ওপর পাঁচ শতাংশ জিএসটি দিতে হয়। আর সে কারণে বাড়ি বা অফিসে খাবারের অর্ডার দেওয়ার ক্ষেত্রে জিএসটি’র পরিমাণ ১৮ থেকে কমিয়ে পাঁচ শতাংশ করার দাবি উঠেছে।


এই বক্তব্যের সঙ্গে সম্মতি জানিয়েছে রেস্তুরাঁগুলিও। করোনা পরিস্থিতিতে যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে এবং স্বাস্থ্যের সুরক্ষার কথা চিন্তা করে অধিকাংশ গ্রাহক বাড়ি বা অফিসে খাবার অর্ডার দেওয়ার ওপরেই জোর দিচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই অনলাইন ফুড ডেলিভারির ক্ষেত্রে পরিসরদ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে অনেকেই মনে করছেন, খাবার সরবরাহকারী সংস্থাগুলির দাবি একেবারেই ন্যায্য।

পরিসংখ্যান বলছে, ভারতে অ্যাপ নির্ভর খাদ্য সরবরাহের বাজারের আয়তন প্রায় ৩০০ কোটি ডলার। বা আনুমানিক ২১ হাজার কোটি টাকা। এই ক্ষেত্রটি বার্ষিক ২২ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু অতিরিক্ত জিএসটি’র বােঝা বৃদ্ধিতে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। তাদের ব্যাখ্যা, কোনও ব্যক্তি অনলাইনে অর্ডার করার পরিবর্তে দোকানে বা রেস্তরাঁয় গিয়ে খেলে তার খরচ এক ধাক্কায় ১৬ শতাংশ কমে যাচ্ছে

। অনলাইন ফুড ডেলিভারির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের মতে, এখানে জিএসটি কমানাে হলে খাবারের দাম আগের তুলনায় কমতে পারে। একই সঙ্গে এই ক্ষেত্রে আরও কর্মসংস্থানও হতে পারে। তাছাড়া কেন্দ্রের ডিজিটাল ইন্ডিয়া উদ্যোগকেও এই ব্যবস্থা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। অ্যাপ ভিত্তিক ফুড ডেলিভারি সংস্থাগুলির আর্জিতে কি সরকার সায় দেবে? তা জানার জন্য অপেক্ষা করে থাকতে হবে ১ ফেব্রুয়ারি মােদি সরকারের বাজে পেশ করার দিন পর্যন্ত।