দিল্লির বড় হাসপাতালগুলি বলছে আক্রান্তদের জন্য বেড নেই, সরকারের দাবি আছে

রাজধানীর বড় হাসপাতালগুলি বলছে, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় তাদের বেড প্রায় নেই। অন্যদিকে সরকারের দাবি, বেডের কোনও সমস্যা নেই।

Written by SNS New Delhi | June 8, 2020 1:13 pm

অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Photo: Twitter / @AamAadmiParty)

ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে রাজধানী দিল্লিতেও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, রবিবার, ৭ জুন, সকাল ৮ টা পর্যন্ত দিল্লিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২৭,৬৫৪। এই অবস্থায় রাজধানীর বড় হাসপাতালগুলি বলছে, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় তাদের বেড প্রায় নেই। অন্যদিকে সরকারের দাবি, বেডের কোনও সমস্যা নেই।

ম্যাক্স হাসপাতাল, ফর্টিস হাসপাতাল ও হোলি ফ্যামিলি হাসপাতাল জানিয়েছে তাদের আর কোনও বেড ফাঁকা নেই। অথচ দিল্লি সরকারের তরফে চালু মোবাইল অ্যাপে দেখাচ্ছে সেখানে এখনও অনেক বেড় ফাঁকা। বেডের কোনও সমস্যা নেই।

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের করা প্রশ্নের জবাবে ফর্টিস হাসপাতাল জানিয়েছে, দিল্লির করোনা অ্যাপে দেখাচ্ছে আমাদের হাসপাতালে বেড ফাঁকা রয়েছে। অথচ একটিও বেড ফাঁকা নেই। এমনকি আইসিইউও ভর্তি। নিশ্চয় অ্যাপে কোনও সমস্যা হচ্ছে। হোলি ফ্যামিলি হাসপাতাল ও ম্যাক্স হাসপাতালের তরফেও একই জবাব দেওয়া হয়েছে। অথচ অ্যাপে দেখাচ্ছে এই দুই হাসপাতালে যথাক্রমে ৬৯ ও ২০০ টি বেড ফাঁকা রয়েছে।

অবশ্য রাজীব গান্ধী সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল জানিয়েছে, তাদের ২৭০ টি বেড ফাঁকা রয়েছে। অ্যাপে দেখাচ্ছে ৩০২ টি বেড় ফাঁকা। কিন্তু সেখানে সমস্যা কর্মীর। বর্তমানে কর্মীর সংখ্যা কম থাকায় চিকিৎসা করতে সমস্যা হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও সরকারি অ্যাপের মধ্যে এই তথ্য বিভ্রাটের ফলে সমস্যায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এই সমস্যার কথা অবশ্য স্বীকার করে নিয়েছেন আম আদমি পার্টির বিধায়ক রাঘব চন্দ্র। তিনি জানিয়েছেন, এই মোবাইল অ্যাপ সাধারণ মানুষের সুবিধার জন্যই চালু করা হয়েছে। কয়েক দিন আগেই এই অ্যাপ লঞ্চ করা হয়েছে। তাই কিছু যান্ত্রিক সমস্যা হচ্ছে। আশা করছি তাড়াতাড়ি তা ঠিক হয়ে যাবে।

সম্প্রতি দিল্লিতে অভিযোগ উঠেছে, রোগীদের ভর্তি নিচ্ছে না অনেক হাসপাতাল। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার দিকেও আঙুল ভোলা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শনিবার সাংবাদিক সম্মেলনে। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছেন, দিল্লিতে আশঙ্কাজনক রোগীদের জন্য বেডের কোনও সমস্যা নেই। যাঁদের মধ্যে উপসর্গ দেখা দিয়েছে তাঁদের যেন না ফেরানো হয়।

কেজরিওয়াল বলেন, কিছু হাসপাতাল কোভিড রোগীদের ভর্তি নিচ্ছে না। আমি সতর্ক করছি, যারা ভাবছে বেডের কালোবাজারি করে প্রভাবশালী ও ক্ষমতাবানদের সুযোগ করে দেবে, তাদের ছাড়া হবে না। এই সমস্যা মেটাতে আমাদের কিছু দিন সময় দিন। যারা বেড থাকা সত্ত্বেও রোগীদের ফিরিয়ে দিয়েছে, আমরা তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেব।

দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন জানিয়েছেন, রাজধানীতে এখনও অন্তত বেড ফাঁকা রয়েছে। কিন্তু হাসপাতালগুলির তরফে সময়ে সেই তথ্য আপডেট করা হচ্ছে। আর তার ফলেই অ্যাপের সঙ্গে সমস্যা হচ্ছে। ফলে ভোগান্তি হচ্ছে সাধারণ মানুষের। দ্রুত এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।