• facebook
  • twitter
Friday, 5 December, 2025

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্ত জঙ্গির বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্ত উমর উন-নবি (উমর মহম্মদ)-এর জম্মু-কাশ্মীরের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন। কাশ্মীরের পুলওয়ামায় বাড়ি ছিল তাঁর।

দিল্লি বিস্ফোরণে অভিযুক্ত উমর উন নবির জম্মু-কাশ্মীরের বাড়ি গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন। কাশ্মীরের পুলওয়ামায় বাড়ি ছিল উমরের। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তার বাড়ি গুঁড়িয়ে দেয় প্রশাসন। পুলিশের বক্তব্য, দিল্লি বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে যে দুই কাশ্মীরি চিকিৎসকের নাম উঠে এসেছে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলত পেশায় চিকিৎসক উমর।

দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে বারবার আল ফালাহ্‌ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উঠে এসেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গেই যুক্ত ছিল উমর। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন অভিযুক্ত চিকিৎসকের যোগসূত্র মিলেছে। প্রসঙ্গত, সোমবার সন্ধ্যায় লালকেল্লার কাছে একটি সাদা রঙের হুন্ডাই আই২০ গাড়িতে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে, এর ফলে আশপাশের বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়। বিস্ফোরণস্থল লাগোয়া বাড়ি, বিল্ডিংগুলিও কেঁপে ওঠে।

Advertisement

তদন্তে নেমে পুলিশের সন্দেহ হয়, গাড়িটি চালাচ্ছিল পেশায় চিকিৎসক উমর। এরপরই পুলওয়ামায় তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ডিএনএ টেস্ট করিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে আসেন তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, দিল্লিতে বিস্ফোরণের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ১৩ জন হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন।

Advertisement

সূত্রের দাবি, উমর কাশ্মীর, হরিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশে ঘোরাফেরা করতেন। তবে তার সঙ্গী মুজাম্মিল শাকিল ধরা পড়ে যাওয়ার পর উমর কিছুটা চাপে পড়ে যায়। এই মুজ্জামিলও আল-ফালাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। তার ঘর থেকে উদ্ধার হয় ৩৬০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। মনে করা হচ্ছে, মুজ্জামিলের গ্রেপ্তারির পর উমর ঘাবড়ে যায়। আর তারপরেই বিস্ফোরকবোঝাই গাড়ি নিয়ে লালকেল্লার সামনে পৌঁছে যায়।

বিস্ফোরণের পর ওইদিন রাতভর পুলওয়ামা এবং আশপাশের এলাকায় তল্লাশি চালায় জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় ছ’জনকে। এই ছ’জনের মধ্যে তিনজন উমরের পরিবারের সদস্য। আর এবার আইইডি বিস্ফোরণের মাধ্যমে উমরের বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া হল।

পুলওয়ামার কইল গ্রামের বাসিন্দা উমরের বউদি গোটা ঘটনায় স্বভাবতই হতচকিত হয়ে গিয়েছেন। উমরের কার্যকলাপ প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘গত শুক্রবারই ওর সঙ্গে কথা হল। তখন বলল, সামনে পরীক্ষা আছে। তাই লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করছে। একেবারে বইয়ের পোকা ছিল। বাড়িতে ফিরলেও সকলকে পড়াশোনা করতে বলত। সেই ছেলের এমন কাণ্ড শুনে আমরা স্তম্ভিত।’

প্রসঙ্গত, দিল্লি বিস্ফোরণ ঘাতক গাড়িটির নম্বর এইচআর২৬ সিই৭৬৭৪। ২০১৪ সালের ১৮ মার্চ মাসে গাড়িটি প্রথমবার বিক্রি হয়। গাড়িটি কেনেন মহম্মদ সলমন নামে এক ব্যক্তি। বিস্ফোরণে উড়ে যাওয়া গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন তাঁর নামেই ছিল। পরে তিনি গাড়িটি দিয়ে দেন দেবেন্দ্র নামে অপর এক ব্যক্তিকে। তবে কোনও আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া ছাড়াই গাড়িটি দিয়ে দেন। এরপর মালিকানা বদল হয়।

গাড়িটি যায় সোনু নামে একজনের হাতে। এরপর গাড়িটি যায় তারিকের কাছে। তবে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে কোনও বদল করা হয়নি। এরপর গাড়ির মালিক হয় উমর উন নবি। বিস্ফোরণের আগে সিসিটিভি ফুটেজে উমরের ছবিই আগেই দেখা গিয়েছিল। সূত্রের খবর, সুনহেরি মসজিদ থেকে লালকেল্লা মেট্রো স্টেশন পর্যন্ত গাড়িটি চালিয়ে এনে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

Advertisement