দিল্লির লালকেল্লার কাছে হওয়া ভয়াবহ বিস্ফোরণের ময়নাতদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। চিকিৎসকদের প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, বিস্ফোরণের অভিঘাতে মৃতদের শরীরে গভীর ক্ষতচিহ্ন দেখা গিয়েছে। তাঁদের ভেতরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন লক্ষ্য করা গিয়েছে।
দিল্লি পুলিশ সূত্রের খবর, ফরেনসিক দল বিস্ফোরণের জায়গা থেকে সংগ্রহ করা নানা নমুনা ইতিমধ্যেই পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠিয়েছে। তদন্তে জড়িত এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে, ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া দেহাবশেষ শনাক্ত করতেও দেরি হচ্ছে। ময়নাতদন্তে দেহে পোড়ার দাগ, হাড়ভাঙা এবং ফুসফুস ও পেটের অংশে মারাত্মক অভ্যন্তরীণ ক্ষতের চিহ্ন লক্ষ্য করা গিয়েছে।
Advertisement
প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, বিস্ফোরকটি হাতবোমা জাতীয় কোনো উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন দ্রব্য ছিল। তবে তা দূরনিয়ন্ত্রিত ভাবে, নাকি হাতে তৈরি বিস্ফোরক ডিভাইস (আইইডি)-এর মাধ্যমে ফাটানো হয়েছে, তা এখনই নিশ্চিত নয়। এ নিয়ে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা পৃথকভাবে বিশ্লেষণ করছেন।
Advertisement
পুলিশ জানিয়েছে, বিস্ফোরণের সময় আশপাশের এলাকায় থাকা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইতিমধ্যেই জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-কে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।
এক তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘এই বিস্ফোরণ নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং পরিকল্পিতভাবে ঘটে থাকতে পারে।’ তবে, তদন্তকারীরা এখনই এ বিষয়ে চূড়ান্ত মত প্রকাশ করতে চাননি। ময়নাতদন্তের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট হাতে এলে বিস্ফোরণের প্রকৃতি এবং উদ্দেশ্য আরও স্পষ্ট হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
Advertisement



