ভাঙড়ে পাওয়ার গ্রিড তৈরির বিরােধিতা করতে গিয়ে যারা গ্রেফতার হয়ে জেলবন্দি ও ইউএপিএ-র মতাে কালা আইনে অভিযুক্ত হন আজ তারাই ঘুরিয়ে রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন মা-মাটি-মনুষের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চান।
এ রাজ্যে গড়ে উঠেছে ‘নাে ভােট টু বিজেপি’ ফোরাম, যার শীর্ষে রয়েছেন বাম আমলে কানােরিয়া জুট মিল আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও তৃণমূল সরকারের আমলে ভাঙড়ে বহু ফসলি কৃষি জমির ওপর পাওয়ার গ্রিড তৈরির বিরােধীতায় গ্রেফতার হওয়া কুশল দোথ, পাওয়ার গ্রিড বিরােধী আন্দোলনের নেত্রী শর্মিষ্ঠা চৌধুরী, মানবাধিকার কর্মী সুজাত ভদ্র সহ এ রাজ্যের বিদ্বজনদের একাংশ।
Advertisement
এদিকে ২ রা মে বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের আগেই সেফোলজিস্ট থেকে বিভিন্ন সংস্থা সমীক্ষা চালাচ্ছে এ রাজ্যের দুই যুযুধান শিবির তৃণমূল ও বিজেপি কটি আসন পেতে পারে। চর্চা চলছে বাম-কংগ্রেস ও আইএসএফ জোটের আসন নিয়ে। বিভিন্ন সমীক্ষায় ভিন্ন ভিন্ন রিপাের্ট উঠে আসছে। কখনও বলা হচ্ছে তৃণমূল এগিয়ে, কখনও বিজেপিকে এগিয়ে রাখা হচ্ছে। এতেই গােল বাঁধছে। কখনও কোনও এক দলের সমর্থকরা উল্লসিত, অন্যরা মর্মাহত। পরের সমীক্ষার রিপাের্টেই আবার উল্টো ছবি ধরা পড়ছে।
Advertisement
নাে ভােট টু বিজেপি ফোরামের পক্ষে কুশল দেবনাথ বলেন, আমাদের একটিই স্লোগান-বিজেপিকে হারাও পথে, বিজেপিকে হারাও ভােটে। আমরা কেউই সেফোলজিস্ট নই। আমাদের আদর্শকেও অবস্থান থেকে লড়াই ফ্যাসিস্ট শক্তি বিরুদ্ধে। আজ একটি চ্যানেল বিজেপির আসন সংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে যারা বলেছিল ৮০ থেকে ১০০ টা সিটের মধ্যে আটকে যাবে বিজেপি, আজ তারা বলছে আসন ৪০/৫০ টা বেড়ে যাবে।
কুশল দোথের প্রশ্ন, ‘কোনও ম্যাজিক বলে আসন বেড়ে গেল। আমরা দেখছি প্রার্থী নিয়ে অন্তর্দ্বন্দে জেরবার বিজেপি, তথাকথিত হাওয়া অনেক স্তিমিত। এটা বুঝতে অসুবিধা নেই মােদি-শাহের নির্দেশেই এটা বেড়েছে এটা ফ্লোটিং ভােটার প্রভাবিত করতে। বিরােধীরা হতােদ্যম হবে।’ মােদি থেকে বিজেপির সমস্ত নেতারা জোর গলায় বলছেন, ‘সােনার বাংলা গড়তে বিজেপি ক্ষমতায় আসছে।’ আর কুশল বলেন, ‘বিজেপির বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই জারি থাকবে।’
Advertisement



