দিল্লি, ১৯ ফেব্রুয়ারি – কৃষক আন্দোলনের জেরে উত্তর ভারতের রাজ্যগুলিতে শিল্প ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে ‘বিপুল ক্ষতি’র আশঙ্কা করছে বণিকসভা পিএইচডিসিসিআই। সংস্থার প্রতিনিধিদের মতে, এর সঙ্গে কর্মসংস্থান নষ্ট হওয়ায় সব মিলিয়ে দৈনিক আর্থিক ক্ষতি ৫০০ কোটি টাকার বেশি হবে। দিল্লির কাছে শম্ভু সীমানায় কৃষকদের আটকে দিয়েছে পুলিশ। আপাতত সরকারের তরফে কৃষকদের পাঁচ দফা দাবি সমন্বিত প্রস্তব দেওয়া হয়েছে। তা খতিয়ে দেখতে আপাতত কৃষক আন্দোলন স্থগিত রেখেছেন কৃষকরা।
এদিকে কৃষক আন্দোলনের জেরে বিপুল আর্থিক ক্ষতির আশঙ্কা করছে বণিক সভাগুলি। পিএইচডি চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-র প্রেসিডেন্ট সঞ্জীব আগরওয়াল বলেন, ‘আন্দোলন অব্যাহত থাকলে দৈনিক ৫০০ কোটি টাকার বেশি আর্থিক ক্ষতি হবে এবং চতুর্থ ত্রৈমাসিকে পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের রাজ্যগুলির গ্রস স্টেট ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট এর উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।’
Advertisement
সঞ্জীব আগরওয়ালের মতে, সরকার এবং আন্দোলনরত কৃষকরা এগিয়ে এসে দ্রুত সমস্যার সমাধান করুক। তিনি জানান, দেশের কল্যাণের জন্য এ ব্যাপারে সবার সহমত হওয়া দরকার। পিএইচডিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, কৃষক আন্দোলনের জন্য পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশ ও রাজস্থানের কিছু অংশে অতি ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলির ব্যবসায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। কারণ, উৎপাদনের জন্য অন্যান্য রাজ্য থেকে এই সংস্থাগুলি কাঁচামাল নিয়ে আসে। আন্দোলনের কারণে তারা কাঁচামাল নিয়ে আসতে পারছে না এবং ক্রেতাদের চাহিদা মেটাতে পারছে না । সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত পাঞ্জাব, হরিয়ানা ও দিল্লির অতি ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি সংস্থাগুলি।
Advertisement
Advertisement



