সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে এখনও রাজ্য সরকারি কর্মীদের ২৫ শতাংশ বকেয়া ডিএ দেয়নি রাজ্য। আজ সোমবার সুপ্রিম কোর্টে ফের সেই মামলার শুনানি। এই আবহে জল্পনা বাড়ছে, আদালত কোন পথে যাবে? রাজ্যকে আরও ছয় মাস সময় দেবে শীর্ষ আদালত, নাকি আরও কঠোর কোনও নির্দেশ দিতে পারে?
প্রসঙ্গত, গত মে মাসের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারি কর্মীদের ছ’সপ্তাহের মধ্যে বকেয়ার ২৫ শতাংশ মিটিয়ে ডিএ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু রাজ্য জানিয়ে দেয়, ওই সময়ের মধ্যে বকেয়া ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়। সেজন্য ছ’সপ্তাহের মেয়াদ যে দিন শেষ হয়েছে, সে দিনই সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা করে আরও ছ’মাস সময় চেয়েছিল রাজ্য। গত ২৭ জুন রাজ্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে জানায়, তাদের এখন আর্থিক সঙ্কট রয়েছে। তাই বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ মেটানোর জন্য আরও সময়ের প্রয়োজন। অন্তর্বর্তী নির্দেশ পুনর্বিবেচনারও আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য।
Advertisement
রাজ্য জানিয়েছিল, লক্ষ লক্ষ কর্মচারীকে বকেয়া ডিএ-র ২৫ শতাংশ দিতে গেলে বিপুল পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেটে এমন কোনও বরাদ্দ নেই। রাজ্যকে যদি এই অর্থ দিতে হয়, তা হলে ঋণ নিতে হবে, যার জন্য কেন্দ্রের অনুমতি দরকার। এই প্রক্রিয়া সময়সাপেক্ষ। তা ছাড়া রাজ্যের যুক্তি ছিল, ডিএ ঐচ্ছিক বিষয়, তা বাধ্যতামূলক নয়। এটি কর্মীদের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না। তাই কেন্দ্রীয় হারে ডিএ দিতে বাধ্য নয় রাজ্য।
Advertisement
রাজ্য আরও জানিয়েছিল, কেন্দ্র যে হারে ডিএ দেয়, তা রাজ্যের উপর প্রযোজ্য নয়। কারণ, কেন্দ্র ও রাজ্যের আর্থিক কাঠামো সমান নয়। তারা আরওপিএ ২০০৯ নামের একটি নিজস্ব নিয়মাবলি চালু করেছে। এই নিয়ম অনুযায়ী, কত হারে ডিএ বৃদ্ধি পাবে, তা নির্ধারণ করবে রাজ্য। সোমবার সেই বিষয়েই শুনানি শীর্ষ আদালতে। বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি পিকে মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলাটি উঠবে।
যদিও গত ১৬ মে শুনানির দিন বকেয়ার ২৫ শতাংশ মেটানোর বিষয়ে রাজ্যের প্রবল আপত্তি উড়িয়ে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, আদালত চাইলে রাজ্য সরকারের মামলা এখনই খারিজ করে দিতে পারে। কিন্তু সেটা এখনই করছে না। আগস্ট মাসে এই মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হবে। ফলে সকলেই তাকিয়ে রয়েছেন এদিন কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেদিকে।
Advertisement



