দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে তিহার জেলে খুন করার ষড়যন্ত্র, অভিযোগ কেজরি পত্নীর

Written by SNS April 21, 2024 8:33 pm

রাঁচি, ২১ এপ্রিল – দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তিহার জেলে ভিতরে খুন করার ষড়যন্ত্র হয়েছে। রবিবার ইন্ডিয়া জোটের মহাসভায়  অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তিহার জেলে খুনের চক্রান্তের অভিযোগ তুললেন কেজরি পত্নী সুনীতা। আপ প্রধানকে জেলে ইনসুলিন দেওয়া হচ্ছে না বলেও রবিবার সোচ্চার হন সুনিতা কেজরিওয়াল।

বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করলেন সুনীতা কেজরিওয়াল। রবিবার রাঁচিতে ‘বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের’ সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি দাবি করেন, “দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জেলে ভিতরেই হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। কেজরিওয়ালের প্রতিটি খাবারে নজরদারি চালানো হচ্ছে। উনি সুগার রোগী এবং ১২ বছর ধরে ইনসুলিন নিচ্ছেন।” বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভে সোচ্চার সুনীতা বলেন, “জেলে কেজরিওয়ালকে ইনসুলিন নিতে দেওয়া হচ্ছে না। ওরা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে মেরে ফেলতে চায় ।”

কেজরিওয়ালের রক্তে শর্করার মাত্রার পরিমাণ অনেক বেশি, তাই প্রথম থেকেই  তাঁকে জেলে বাড়ির খাবার খেতে দেওয়া হোক, এমনও আবেদন করেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। জেলের মধ্যে ইনসুলিন নেওয়ার দাবি তুলে দু’দিন আগেই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে মামলা করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রবিবার আরও এক ধাপ এগিয়ে সরাসরি কেজরিওয়ালকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলে আক্রমণ করলেন সুনীতা।
 
এদিন জেল থেকে কেজরিওয়ালের পাঠানো বার্তা তুলে ধরেন তাঁর স্ত্রী সুনিতা । সুনীতা কেজরির যে ৬টি গ্যারান্টির কথা উল্লেখ করেছেন তা হল সারা দেশে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ, প্রতিটি গরিব মানুষের জন্য বিনামূল্যে বিদ্যুৎ , প্রতিটি গ্রামে এবং এলাকায় ভাল অবৈতনিক স্কুল, মহল্লা ক্লিনিক, প্রতিটি গ্রামে মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল, দিল্লিকে পূর্ণ রাজ্যের মর্যাদা।
 
এদিকে রবিবার দেশের গণতন্ত্র বাঁচানোর ডাক দিয়ে রাঁচিতে জড়ো হন ইন্ডিয়া জোটের নেতা-নেত্রীরা। এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন হেমন্ত সোরেনের স্ত্রীও । এদিন সমাবেশ চলাকালীন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন কয়েকজন কর্মী। শুরু হয় হৈ হট্টগোল। গন্ডগোল গড়ায়  চেয়ার ছোড়াছুড়িতে গিয়ে। একে অপরের দিকে চেয়ার ছুড়ে দেয়। ঘটনাকে ঘিরে সমাবেশের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সূত্রের খবর, ছাতরা জেলার কংগ্রেস প্রার্থী কে এন ত্রিপাঠির ভাই এবং চাতরা জেলার আরজেডি সমর্থকরা একে অপরের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষে কে এন ত্রিপাঠীর ভাই গোপাল ত্রিপাঠীর মাথায় আঘাত লাগে। অভিযোগ, সমাবেশে ১০ থেকে ১৫ জন বহিরাগত এসেছিল। তারাই বিশৃঙ্খলা ছড়ানোর চেষ্টা করে। হামলাটি পরিকল্পিত বলে অভিযোগ করেন  গোপাল ত্রিপাঠী ।
 
সমাবেশে অংশ নেয় ১৪টি রাজনৈতিক দল। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি বিরুদ্ধে রামলীলা ময়দানে অনুষ্ঠিত সমাবেশের আদলে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। হেমন্ত সোরেনের গ্রেফতারির প্রতিবাদ করা হয়। রাষ্ট্রীয় জনতা দল নেতা তেজস্বী যাদব রবিবার দাবি করেন, ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্তর সোরেনের প্রতি অবিচারের জন্য ঝাড়খণ্ডের জনগণ বিজেপিকে উপযুক্ত জবাব দেবে।
 
প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়া জোটের সভার আগে বিরোধী নেতাদের পোস্টারে ছেয়ে যায় রাঁচি। জেলবন্দি হেমন্ত সোরেন-অরবিন্দ কেজরিওয়াল ছাড়াও সোনিয়া , প্রিয়াঙ্কা গান্ধির পোস্টারও ছিল  সেখানে। যদিও এদিনের সম্মেলনে সোনিয়া-প্রিয়াঙ্কা উপস্থিত ছিলেন না।