পিএফ থেকে টাকা তোলার নিয়ম সহজ করার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে কেন্দ্র সরকার। কর্মচারীরা তাঁদের সঞ্চয় ব্যবহারে যাতে স্বাধীনতা পান, সে কথা ভেবে বেশ কয়েকটি নিয়ম পরিবর্তন করা হচ্ছে। বাড়ি তৈরি বা ক্রয়, বিবাহ এবং উচ্চশিক্ষার জন্য সহজেই কর্মচারীরা যাতে প্রভিডেন্ট ফান্ড থেকে টাকা তুলতে পারেন সেটি মাথায় রাখা হচ্ছে। আগামী বছরের মধ্যেই এই নতুন নিয়ম চালু হতে পারে বলেই খবর।
প্রসঙ্গত, ইপিএফও-তে থাকা টাকা কর্মচারীদের নিজস্ব অর্থ। কর্মচারীরা যাতে নিজেদের প্রয়োজন মতো তহবিলের অর্থ ব্যবহার করতে পারেন, সেটাই সরকারের লক্ষ্য বলেই মনে করা হচ্ছে। অনেক সময় জরুরি পরিস্থিতিতে, মানুষ তাদের পিএফ অ্যাকাউন্টে টাকা থাকা সত্ত্বেও তা তুলতে পারেন না। কারণ টাকা তুলতে আবেদনকারীকে একটি বৈধ কারণ দেখাতে হয়। সে কারণে সরকার ইপিএফও নিয়মে একটি বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে।
Advertisement
কারণ না দেখিয়েই বছরে ছ’বার পর্যন্ত পিএফ থেকে টাকা তোলার অনুমতি কথা ভাবা হচ্ছে। এটি জরুরি পরিস্থিতিতে কর্মীদের তাৎক্ষণিক স্বস্তি দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। নগদ লেনদেন সহজ করবে এবং অর্থিক অবস্থার উপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ প্রদান করবে। তবে সেক্ষেত্রে পিএফ ব্যালেন্সের ৫০ শতাংশের বেশি তোলা যাবে না। পিএফ ব্যালেন্স যাতে সম্পূর্ণরূপে শেষ না হয়, সেই কারণে এই সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া অবসরের সময় তহবিল সংরক্ষণ করার কথাও মাথায় রাখা হয়েছে।
Advertisement
উল্লেখ্য, পিএফ থেকে টাকা তোলার কিছু বাধ্যতামূলক বিধিনিষেধ রয়েছে। বিয়ের জন্য পিএফ ব্যালেন্সের ৫০ শতাংশ তোলা যায়। তবে এর জন্য কমপক্ষে সাত বছরে ইপিএফও সদস্যপদ থাকা প্রয়োজন। এটি কেবল তাদের নিজস্ব বিবাহের ক্ষেত্রেই নয়, ভাইবোন বা সন্তানের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। পড়াশোনার জন্যও পিএফের ৫০ শতাংশ তোলা যায়। তবে পিএফ অ্যাকাউন্ট সাত বছর পূর্ণ না হলে এই অর্থ তোলা সম্ভব নয়।
বাড়ি কেনা বা তৈরি করার জন্যও পিএফ ব্যালেন্স এবং ইপিএস থেকে টাকা তোলা যায়। তবে এর জন্য কমপক্ষে পাঁচ বছরের চাকরি হওয়া প্রয়োজন। টাকা তোলার সীমা মোট জমা হওয়া তহবিলের ৯০% পর্যন্ত। সম্পত্তিটি সদস্য, তাদের স্ত্রী বা যৌথ মালিকানাধীন হতে হবে। সদস্যকে কমপক্ষে তিন বছর চাকরি করতে হবে।
চিকিৎসাগত জরুরি অবস্থার ক্ষেত্রেও প্রয়োজন অনুসারে টাকা তোলা যায়। এক্ষেত্রে অবশ্য কোনও সীমা নেই। বেকারত্বের ক্ষেত্রেও টাকা তোলায় ছাড় রয়েছে। ৭৫ শতাংশ টাকা তোলায় ছাড় রয়েছে। তবে এক্ষেত্রে আবেদনকারীকে কমপক্ষে এক মাস বেকার থাকা আবশ্যক।
Advertisement



