দিল্লি, ১৩ জানুয়ারি – ফলন ভাল, জোগানও পর্যাপ্ত। কিন্তু তার পরও চাল এবং অন্যান ফসলের দাম নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না। সেই কারণে খোলা বাজার ও রেশন দোকান মারফত ভরতুকিতে চাল ও বিভিন্ন ফসল বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র সরকার। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে এ নিয়ে পরিস্থিতির বিস্তারিত পর্যালোচনার পর বিবৃতি জারি করা হয়েছে। চাল-সহ মরশুমি ফসলের দাম কমিয়ে তা মানুষের নাগালে আনতে দেশজুড়ে চালকল মালিক ও সরবরাহকারীদের সংগঠনের কাছেও আবেদন করেছে কেন্দ্র।
চাল-সহ ঊর্ধ্বমুখী বহু ফসলের দাম। গত দেড় বছরে ১২ শতাংশ বেড়েছে চালের দাম। যা নিয়ন্ত্রণে কোনও পদক্ষেপ করা যাচ্ছে না। ফলে চিন্তা বেড়েছে কেন্দ্রের । এই পরিস্থিতিতে সরাসরি জনতার কাছে কম দামে চাল-আটা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হল। একইসঙ্গে কেন্দ্রীয় ফুড কর্পোরেশন বা এফসিআইয়ের মতো সরকারি একাধিক সংস্থার কাছে তাদের আবেদন, রাস্তায় নেমে সরাসরি জনতার হাতে কম দামে খাদ্যপণ্য পৌঁছে দিক তারা। খোলা বাজারে সরাসরি তাদের মাধ্যমে চাল বিক্রির কাজ শুরু করতে ব্র্যান্ডিংও করা হয়েছে।
Advertisement
এই ভরতুকিযুক্ত চালের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভারত চাল’। একইসঙ্গে ‘ভারত আটা’, ‘ভারত ডাল’ – এমন নাম দিয়ে পরপর বাকি ফসল বা শস্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরাসরি কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা চাল খোলা বাজারে বিক্রি করলে তা প্রতি কেজি ২৫ টাকায় বিক্রি করবে এফসিআইয়ের মতো সংস্থা। রেশন ডিলাররা তা বিক্রি করবেন কেজি প্রতি আরও ৪ টাকা বেশি মূল্যে। তবে এই চাল বা অন্য ফসল ৩১ মার্চের মধ্যে এফসিআইকে বিক্রি করে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
Advertisement
Advertisement



