১৩ টি দেশের সঙ্গে বিমান পরিষেবা শুরু করার চেষ্টা চলছে, জানাল কেন্দ্র

দু’মাস বন্ধ থাকার পর ২৫ মে থেকে শুরু হয় অন্তর্দেশীয় পরিষেবা। যদিও তার সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের থেকে অনেক কম।

Written by SNS New Delhi | August 20, 2020 2:16 pm

প্রতিকি ছবি (File Photo: iStock)

করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর মার্চ মাস থেকে ভারত সরকার আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ রেখেছে। মাঝে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা শুরু হয়নি। তার মধ্যেই বেশ কয়েকটা দেশের সঙ্গে বিমান পরিষেবা শুরু করার চেষ্টা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।

বর্তমানে বিশ্বের ১৩ টি দেশের সঙ্গে কথা চলছে। এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী। দ্বিপাক্ষিক এই পরিষেবা শুরু করার জন্য একটি এয়ার বাবল চুক্তিতে সই করতে হবে দুটি দেশকে।

অসামরিক বিমানমন্ত্রী বলেন, এই দেশগুলি ছাড়া ভারতের কয়েকটি পড়শি দেশ শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, আফগানিস্তান নেপাল ও ভুটানের সঙ্গেও কথা চলছে। ইতিমধ্যে জুলাই মাস থেকে সাতটি দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল শুরু করেছে ভারত। এই দেশগুলি হল আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, কাতার ও মালদ্বীপ।

মঙ্গলবার টুইটারে অসামরিক বিমান পরিবহনমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেন, আমরা এই পরিষেবা আরও বাড়াতে চাইছি। আমরা এই মুহূর্তে আরও ১৩ টি দেশের সঙ্গে কথা বলছি। তাদের এয়ার বাবল চুক্তি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই দেশগুলি হল অস্ট্রেলিয়া, ইতালি, জাপান, নিউজিল্যান্ড, নাইজেরিয়া, বাহরিন, ইজরায়েল, কেনিয়া, ফিলিপাইন্স, রাশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া ও থাইল্যান্ড।

হরদীপ সিং পুরী আরও জানান, যে ১৩ টি দেশের কথা বলা হয়েছে, সেগুলি ছাড়াও আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে বিমান পরিষেবা শুরু করার কথা ভাবছে কেন্দ্র। তিনি বলেন, আমাদের প্রধান লক্ষ্য হল বিদেশে থাকা প্রতিটি ভারতীয়র কাছে সাহায্যের জন্য পৌঁছনো। কেউ যেন বাদ না পড়ে সেটা দেখা। গত ২৩ মার্চ থেকে ভারতে সব রকম বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।

দু’মাস বন্ধ থাকার পর ২৫ মে থেকে শুরু হয় অন্তর্দেশীয় পরিষেবা। যদিও তার সংখ্যা স্বাভাবিক সময়ের থেকে অনেক কম। তাছাড়া প্রতিটি বিমানে যাত্রী সংখ্যাও আগের থেকে ৫০ বা ৬০ শতাংশ নেওয়া হচ্ছে। ভারতে করোনা সংক্রমণের একটা বড় প্রভাব এই বিমান পরিষেবার ওপর পড়েছে। অনেক সংস্থাকে কর্মী ছাঁটাই ও বেতন কাটছাঁট করতে হয়েছে। দু’একটি বেসরকারি বিমান সংস্থা নিজেদের পরিষেবা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। তাই এই পরিষেবা যতটা সম্ভব বাড়ানো যায় সেই চেষ্টা করছে কেন্দ্র।