পাক অধিকৃত কাশ্মীর ভারতে আনাই অগ্রাধিকার, বললেন জিতেন্দ্র সিং

পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করাই এই মুহূর্তে দেশের অগ্রাধিকার বলে মঙ্গলবার মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং।

Written by SNS New Delhi | June 25, 2020 4:00 pm

জিতেন্দ্র সিং (Photo: IANS/PIB)

ভারত-চিন সীমান্ত সংঘাত নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই নতুন ঘোষণা নরেন্দ্র মেদি সরকারের মন্ত্রীর। পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত করাই এই মুহূর্তে দেশের অগ্রাধিকার বলে মঙ্গলবার মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং।

এদিন ‘জন সংবাদ’ ভার্চুয়াল জনসভায় বক্তব্য রাখেন জিতেন্দ্র সিং। তখনই তিনি বলেছেন, উত্তর-পুর্বের রাজ্যগুলির মতোই জম্মু কাশ্মীর ও লাদাখকে প্রাপ্য গুরুত্ব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই দিন ছিল বিজেপি তথা জনসঙেঘর প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুদিন। কাশ্মীরেই ম্রিত্যু হয়েছিল শ্যামাপ্রসাদের।

এই দিনটাকে প্রতিষ্ঠাতার বলিদান দিবস হিসেবে পালন করে বিজেপি। সেই দিনেই পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতে নিয়ে আসাটা দেশের অগ্রাধিকার বলে মন্তব্য করলেন মোদি মন্ত্রিসভার অন্যতম মুখ জিতেন্দ্র সিং। এদিন নিজের বক্তব্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, উত্তর-পূর্বের (এনডিএ শাসিত) রাজ্যগুলির মতোই জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে যথাযথ গুরুত্ব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আমাদের।

আগামী দিনে কী কী ঘটতে চলেছে, তা কেউ কল্পনাও করতে পারনে না। পাক অধিকৃত কাশ্মীরকে ভারতীয় প্রজাতন্ত্রের অংশ করা এবং মহারাজা হরি সিংহ যেভাবে দেশের ওই অংশকে আমাদের দিয়েছিলেন, তা ফিরিয়ে আনাই অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে।

এদিন তাঁর বক্তব্যে, শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আত্মত্যাগের প্রসঙ্গও উঠে আসে। জিতেন্দ্র সিং বলেন, ৩৭০ ধারার অবলুপ্তি বছরের পর বছর ধরে বিজেপি কর্মীদের আত্মত্যাগ ও ৬৮ বছরের লড়াইয়ের সুমধুর ফল। কাশ্মীর উপত্যকাকে একাত্মকরণের কাজ শুরু হয়েছে এবং জম্মু ও কাশ্মীরে তোষণের পর্ব অবলুপ্তির পথে।

তবে এটাই প্রথম নয়। এমন দাবি আগেও করেছে বিজেপি। গত ১৪ জুন জম্মু-কাশ্মীর জন সংবাদ র‍্যালিতে ভাষণ দিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। সেই ভার্চুয়াল জনসভা থেকেও রাজনাথ বলেছিলেন, শীঘ্রই ভারতের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের জনগণ আওয়াজ তুলবেন।

তিনি বলেন, একটু অপেক্ষা করুন, শীঘ্রই পাক অধিকৃত কাশ্মীরের মানুষরা ভারতের সঙ্গে থাকার দাবি জানাবেন এবং পাকিস্তানের অধীনে থাকবে না। আর যেদিন সেটা হবে, সেদিন আমাদের সংসদের লক্ষ্য পূরণ হবে। এবার সেই দাবিই তুললেন আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।