বােড়াে চুক্তি বড় প্রাপ্তি : প্রধানমন্ত্রী

অসমের কোকড়াঝোরে শুক্রবার এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ঐতিহাসিক বােড়াে চুক্তির ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে শান্তি ও উন্নয়নের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।

Written by SNS Assam | February 8, 2020 2:46 pm

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। (Photo: IANS)

অসমের কোকড়াঝােরে শুক্রবার এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে নরেন্দ্র মােদি বলেন, ঐতিহাসিক বােড়াে চুক্তির ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে শান্তি ও উন্নয়নের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। এই ঐতিহাসিক চুক্তি করার কোনও সরকার সাহস দেখায়নি। জঙ্গি আন্দোলনের ফলে এই অঞ্চলে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন, কিন্তু পূর্বের কোনও সরকারই এই সমস্যা নিরসনে কোনও উদ্যোগ নেয়নি। উত্তরপূর্বের রাজ্যগুলি অবহেলার শিকার হয়েছে।

ডিসেম্বরে সিএএ আইন পাশ করার পর এই প্রথম অসমে নরেন্দ্র মােদি জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে জানান, বােড়াে চুক্তির পর অল ইন্ডিয়া বােড়াে স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (আবসু), ন্যাশনাল ডেমােক্রেটিক ফ্রন্ট অব বােড়ােল্যন্ড (এনডিএফবি), অল বােড়াে স্টুডেন্টস ইউনিয়ন এবং বিটিসি প্রধান হাগ্রামা মহিলারির মতাে বিভিন্ন সামাজিক গােষ্ঠী ও সরকারি পক্ষে যে সদর্থক ভূমিকা পালন করেছে তার ফলেই স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।

বােড়াে চুক্তির ফলে কয়েক দশক ধরে চলা সমস্যার স্থায়ী সমাধান হল এবং শান্তি ও উন্নয়নের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। জানুয়ারি মাসের ২৭ তারিখে মােদি সরকার অসমের বােড়াে অধ্যুষিত অঞ্চলের জন্য আন্দোলনরত চারটি প্রধান গােষ্ঠী ন্যাশনাল ডেমােক্রেটিক ফ্রন্ট অব বােড়ােল্যান্ড (এনডিএফবি), অল বােড়াে স্টুডেন্টস ইউনিয়ন এবং সামাজিক গােষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে।

এনডিএফবি’র বিভিন্ন গােষ্ঠীর দেড় হাজারের বেশি জঙ্গি গােষ্ঠী তাদের অস্ত্র সমর্পণ করেন এবং সমাজের মূল স্রোতে যােগ দেন চুক্তির দু’দিন পরেই। এর আগের ১৯৯৩ এবং ২০০৩ সালে বিটিএডি চুক্তি হলেও শান্তি ফেরেনি। কিন্তু এই সরকার আন্দোলনরত সকল গােষ্ঠীর সকল দাবি মেনেই চুক্তি করেছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদি।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার উত্তরপূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির উন্নয়নে নীতি নির্ধারণের ধারাটাই বদলে দিয়েছে। আগে এই অঞ্চলের রাজ্যগুলিকে কেবল গ্রাহক হিসেবেই দেখা হত। কিন্তু বর্তমানে এই রাজ্যগুলি উন্নয়নের বাহক হিসেবে গণ্য। পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নের জন্য যৌথভাবে কাজ করতে হবে এবং এখানে যেন আর কোন হিংসাত্মক আন্দোলনের সৃষ্টি না হয় সেটা আমাদের দেখতে হবে বলে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেন।

এদিন ভাষণের মধ্যে রাহুল গান্ধির ‘মানুষ ছয় মাসের মধ্যে বেকারি ও দেশের অর্থনীতি নিয়ে মিথ্যা ভাষণের জন্য ডাণ্ডা দিয়ে মারবে’ মন্তব্যের উত্তর দিতে গিয়ে নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘কিছু লােক আমাকে ডাণ্ডা মারার কথা বলছেন। কিন্তু যে মােদির ওপর দেশের মা ও ভগ্নিদের আশীর্বাদ বর্ষিত হয়েছে, সেই মােদির ওপর যতই ডাণ্ডা মারাে, কোনও ক্ষতি হবে না’।