দশম বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় বিহারে প্রথম মন্ত্রিসভার বৈঠক করলেন নীতীশ কুমার। মঙ্গলবার দুপুরে অনুষ্ঠিত এনডিএ সরকারের সেই বৈঠকেই নেওয়া হল আগামী পাঁচ বছরে রাজ্যের যুবকদের জন্য এক কোটি কর্মসংস্থানের লক্ষ্য পূরণের নীতিগত সিদ্ধান্ত। রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, নীতীশের নতুন মেয়াদে উন্নয়ন এবং কর্মসৃজন— দু’টিকেই সমান্তরালভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর সরকার।
মন্ত্রিসভার ওই বৈঠকের পরে বিহারের মুখ্যসচিব প্রত্যয় অমৃত সাংবাদিকদের জানান, আলোচনা হয়েছে মূলত কর্মসংস্থান বৃদ্ধি ও শিল্পায়ন নিয়ে। তিনি বলেন, ‘বিহারকে পূর্ব ভারতের একটি বড় প্রযুক্তি কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সরকার বিশেষ পরিকল্পনা নিয়েছে। প্রতিরক্ষা উৎপাদন করিডোর, সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন পার্ক, আন্তর্জাতিক সক্ষমতা কেন্দ্র, মেগা টেক সিটি এবং ফিটনেস সিটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’
Advertisement
শুধু এতেই থেমে থাকছে না নীতীশ সরকার। রাজ্যের শোনপুর, সীতামঢ়ী সহ ১১টি শহরে গ্রিনফিল্ড টাউনশিপ প্রকল্প গড়ার অনুমোদনও মিলেছে এদিনের বৈঠকে। এদিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার যুগে পিছিয়ে পড়তে রাজি নয় বিহার। সেই কারণেই শুরু হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মিশন, যাতে রাজ্য উন্নত প্রযুক্তি নির্ভর কর্মক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতে পারে।
Advertisement
শিল্পোন্নয়ন ও কৃষিভিত্তিক পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে মন্ত্রিসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বন্ধ হয়ে থাকা ন’টি চিনিকল আবার চালু করা হবে। সেইসঙ্গে পর্যায়ক্রমে নতুন ২৫টি চিনিকল স্থাপন করা হবে। সরকারের আশা, এতে কৃষক, শ্রমজীবী ও গ্রামাঞ্চলের অর্থনীতিতে ইতিবাচক জোয়ার আসবে।
সব মিলিয়ে নীতীশ কুমারের প্রশাসন স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে, বিহারের যুবসমাজের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করতেই দ্রুতগতিতে উন্নয়ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। আগামী ১ ডিসেম্বর বসছে নতুন বিধানসভার অধিবেশন। সেখানেই এই পরিকল্পনাগুলির রূপরেখা আরও পরিষ্কার করা হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রের খবর।
Advertisement



